বেশিরভাগ অভিভাবক সন্তানের সাথে কো-অপারেশানে যেসব সমস্যায় পড়ে তারমধ্যে অন্যতম হলো বাড়ির কাজ বা হোমওয়ার্ক। বাধ্যতামূলক এই কাজটি ঠিকঠাক করাতে গিয়ে প্রায়ই নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য হয় এবং একপর্যায়ে সন্তান অগ্রাহ্য করা শুরু করে। এর প্রধান কারণ নিজ থেকে দায়িত্ব নিয়ে বাবা-মার ইনভলভড হওয়া এবং প্রেশার দিয়ে কাজ করানো। বেশিরভাগ সময়ে বাবা-মা বাচ্চাকে জোর করে টেবিলে হোমওয়ার্ক করাতে বসায়, এবং শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশেই বসে থাকে। এতে অনেকসময় বাচ্চা অস্বস্তির মধ্যে থাকে তাই যেখানে কাজটা শেষ করতে ১০ মিনিট লাগতো সেখানে একঘন্টা লেগে যায়। তাই বয়স ও ক্লাস বাড়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে পুরো দায়িত্ব সন্তানের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত। ওকে হোমওয়ার্ক কালচারে অভ্যস্ত করানোর জন্য নিচের স্টেপগুলো নিতে পারেনঃ
*প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে সন্তানের ক্লাস যত প্রমোশান হবে, বাড়ির কাজের ধরণ ও কমপ্লিট করার প্রসেসও তত চেঞ্জ হবে। সেগুলো ধীরে ধীরে হোমওয়ার্ক থেকে এসাইনমেন্ট, রিপোর্ট, সাবমিশন ইত্যাদিতে পরিণত হয়।
*স্কুল থেকে ফেরার পর ডেইলি রুটিনে হোমওয়ার্ক করার একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিন।
*ঠিক ঐ সময়ে ঘরে হৈ-চৈ বা শব্দ হয় এমন কাজ যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলুন।
*উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের কাছেই রাখুন।
*হোমওয়ার্ক করার সময় বাচ্চাকে কেউ যেন বিরক্ত না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন, যাতে নিজের কাজ নিজে করতে পারে।
*কিন্তু কখনো হেল্প চাইলে বাকি সব কাজ বাদ দিয়ে তাকে প্রায়োরিটি দিন।
*হোমওয়ার্ক সংশোধন করতে যাবেন না, বরং ওকেই চেক করতে বলুন যাতে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে।
*আস্তে আস্তে এমন অভ্যাস গড়ে তুলুন যাতে আদেশ ছাড়াই সন্তান বোঝে যে ওর হোমওয়ার্ক নিয়মিত করা ও স্কুলে নিয়ে যাবার জন্য সে নিজেই দায়বদ্ধ।
*রুটিনে হোমওয়ার্কের পরের কাজগুলো যথাসময়ে ঠিক রাখুন যাতে সে অবহেলা বা আলসেমির সুযোগ না পায়।
*নিজ থেকে শাস্তি না দিয়ে বরং বাচ্চা হোমওয়ার্ক না করলে বা স্কুলে নিয়ে না গেলে যদি ঝামেলায় পড়ে তাহলে সাহায্য করবেন না।
*এমনভাবে শিডিউল করুন যাতে বাচ্চার খেলাধূলা বা বিনোদনের সময়টা হোমওয়ার্কের পরেই হয় এবং ও সেটায় অভ্যস্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
812 total views, 1 views today