Show Categories

আপনার সন্তানকে ভলান্টিয়ার হতে উৎসাহ দেবেন যে কারণে…

ভলান্টিয়ার

একটি সত্য গল্প বলি। ঢাকা শহরেরই। ঢাকা শহরের কিছু মানুষ মিলে ঠিক করলেন, কোথাও কোন খাবার অপচয় হতে দেবেন না। বিয়ে কিংবা উৎসব, যেখানেই খাবার বেঁচে যাবে সেখানেই হানা  দেবেন তারা।  সেই খাবার সংগ্রহ করে ঢাকার ঘরহারা ক্ষুধার্ত হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন। শ-খানেক ভলান্টিয়ার নিয়ে বিগত কয়েকবছর ধরে তারা এই কাজটি করে আসছেন অত্যন্ত সফলভাবে। মানবতার এক সুন্দর দৃষ্টান্ত তো এটা অবশ্যই। দেশে কিংবা বিদেশে প্রতিটা ভলান্টিয়ার ওয়ার্কই মানুষ মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক দারুণ ভাবে একজন মানুষের মাঝে কিছু অসাধারণ গুণ গড়ে তোলে। যা তার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে কাজে লাগে। চলুন, এই গল্পেই আমরা সেইসব গুণ খোঁজার চেষ্টা করি। কোথায় খাবার বেঁচে গেছে তা জানা থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত কাজটি কিন্তু পুরোটাই একটি পরিকল্পনামাফিক হয়। খাবার কোথায় বেঁচে গেলো সে খবর নেয়া, খাবার সংগ্রহ করা, কতজনের খাবার হলো তা ঠিক করা, কোথায় কোথায় খাবার দেয়া হবে তা ঠিক করা ও সর্বশেষ সবার কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া; এই কাজগুলো করা বা এই কাজগুলোর সাথে সম্পৃক্ত থেকে যে কেউই নিজের ভেতর সাংগঠনিক গুণ, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, ডিস্ট্রিবিউশন, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদির শিক্ষা নিতে পারে। শুধু এই গুণগুলো না। ভলান্টিয়ার ওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সকল মানুষের মাঝে আপনা-আপনিই কিছু গুণ গড়ে উঠে। চলুন, আজ আমরা সেসব জেনে নেবো। একই সাথে জেনে নিবো কীভাবে সন্তানকে ছোট থেকে ভলান্টিয়ার ওয়ার্কের প্রতি আগ্রহী করবেন। সাথে জেনে নিবো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কিছু ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন সম্পর্কে।

সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা

স্কুলের স্কাউট বা গার্লস গাইডের কথা মনে আছে? কিংবা সবাই মিলে অ্যাসেম্বলির পরে স্কুলের মাঠ পরিষ্কার করার কথা? ভলান্টিয়ার ওয়ার্ককে আমাদের সমাজ, আমাদের স্কুল, আমাদের পরিবেশ, আমাদের চারপাশের প্রতি আমাদের দায়িত্বও বলা যায়।। বিনা পারিশ্রমিকে সমাজের, দেশের, পরিবেশের, সহজ কথায় আমাদের চারপাশের কোন সমস্যা নিজ উদ্যোগে বা দলবল নিয়ে সমাধান করাই মূলত ভলান্টিয়ারিং। সমাজ থেকে, পরিবেশ থেকে, আমাদের চারপাশ থেকে আমরা যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি সবক্ষেত্রে সেই সুবিধার দাম পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু সমাজ বা পরিবেশের সমস্যাগুলো নিজ উদ্যোগে সমাধান করে দেয়া হয়তো সম্ভব। ভলান্টারি  ওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার সন্তান সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করছে। সন্তান যদি ভলান্টিয়ারিং এর সাথে যুক্ত থাকে তাহলে আমাদের চারপাশের সবকিছুর প্রতি তার ভালোবাসা ও সচেতনা বাড়বে।

কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ায়

স্কুল পর্যায়ের রোবার স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইড বা জাতীয় পর্যায়ের বড় কোন ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত থাকে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। এইসব ভিন্ন ভিন্ন মানুষগুলো কাজ করে একটা দল হয়ে। নিজেদের মাঝে অনেক যোগাযোগ রাখতে হয়। নিজের মতামত জানাতে হয়, অন্যের মতামত নিয়ে কথা বলতে হয়। এভাবে ধীরে ধীরে অনেক মানুষের সাথে ইন্টারেকশন করলে যে কারোরই কমিউনিকেশন স্কিল বেড়ে যাবে অনেক গুণ। তাছাড়া গবেষণা দ্বারাও প্রমাণিত যে, ভলান্টিয়ারিং এর সাথে যুক্ত যে কারোরই কমিউনিশেকন স্কিল অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। একই সাথে নতুন অনেক কিছুর সাথে পরিচিত হওয়ার ফলে ও নতুন নতুন কাজ করার ফলে নিজের কম্পোর্ট জোন থেকে বের হওয়ারও একটা সুযোগ তৈরি হয়।

নেটওয়ার্কিং বাড়ে

একটা ভলান্টিয়ার গ্রুপে ছোট-বড়, বিভিন্ন পেশার মানুষ থাকে। বিভিন্ন মাধ্যনে অনেক মানুষের সাথে একসাথে কাজ করার ফলে নিজের পরিচিত গন্ডি বাড়তে থাকে। এক সাথে ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক করার ফলে সমমনা একটা কমিউনিটি তো পাওয়াই যায় সাথে অনেক নতুন নতুন বন্ধুও পাওয়া যায়। তাছাড়া সবাই মিলে হাসিখুশি কাজ করার মাধ্যমে সুন্দর কিছু একটা করে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষন করাটাও বেশ সহজ এখানে। ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক কোন চাপ ছাড়াই নিজেকে অন্যের সামনে মেলে ধরতেও সাহায্য করে।

আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়

ভলান্টিয়াররা সমস্যা সমাধান করে সবাই মিলে। কোন একটা প্রজেক্ট একদম কাছ থেকে দেখা ও সেটার সাথে নিজেকে দারুণভাবে যুক্ত রাখার দারুণ সুযোগ থাকে ভলান্টিয়ার ওয়ার্কে। ফলে একটা প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটা কাজ সম্পর্কেই একটা ধারণা তৈরি হয়। সমস্যা সমাধানের দারুণ অনেকগুলো মডেলের সাথেও পরিচিত হওয়া যায়। বেড়ে যায় সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, ভিন্নভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা। আর এক একটা প্রজেক্টের সাথে এভাবে যুক্ত থাকতে পারলে নিজের প্রতি বিশ্বাস বেড়ে যায় অনেকগুণ।

টিমওয়ার্ক ও নেতৃত্ব গুণ

ভলান্টিনিয়ারিং আত্ম উন্নয়নের এই দুটি গুণ দারুনভাবে একজন মানুষের মাঝে গড়ে দেয়। ভলান্টিয়ারিং এর সাথে যুক্ত থাকা মানুষেরা পেশাগত জীবনে প্রবেশ করার অনেক আগেই টিমওয়ার্ক আর নেতৃত্বগুণ অর্জন করে। ভলান্টিয়ারিং মানেইতো টিমওয়ার্ক। আর এখানে প্রতিটি প্রজেক্টে যদি নেতৃত্ব দেন, তিনি একদমই বাইরের কেউ না। টিম থেকেই কেউ একজনকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে খুব কাছ থেকেই নেতৃত্ব দেখে এই গুণ অর্জন করা যায় ও ভুলগুলো নিয়ে কথা বলে নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করা যায়। অনেক সময় আলাদা আলাদা ভাবে প্রায় একটা ভলান্টিয়ার টিমের সবাই কোন না কোন প্রজেক্টে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পায়।

তাছাড়াও জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ভলান্টারি ওয়ার্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। চাকরি থেকে শুরু করে নিজের কোন ব্যবসা শুরু করা। প্রতিটা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে একজন ভলান্টিয়ার অন্যদের কিছুটা এগিয়ে থাকে। কারণ জীবনের শুরুর দিকে ভলান্টিরিং এর সাথে যুক্ত থাকায় ধীরে ধীরে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সমৃদ্ধ হয়।

বাচ্চাদের কীভাবে যুক্ত করবেন ভলান্টিয়ার ওয়ার্কে  

আমরা যেদিন সবাই মিলে স্কুলের মাঠ পরিষ্কার করেছিলাম সেদিন থেকেই মূলত ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছি আমরা। মানে যুক্ত হওয়া কিন্তু হয়েই গেলো!

যাক এবার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক কথা বলি

প্রতিটা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। স্কুলের রোভার স্কাউট, বিএনসিসি কিংবা গার্লস গাইড প্রতিটা স্কুলের স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্বারাই পরিচালিত হয়। আপনি সন্তানকে স্কুলে এই সংগঠনগুলোর সাথে যুক্ত করতে পারেন। একটু বড় হলে মানে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সে নিজেই তার আশেপাশে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাবে। যেগুলোতে যুক্ত হওয়ার জন্য শুধু নিজের ইচ্ছে শক্তিই যথেষ্ট। সেই ইচ্ছেশক্তিটিই আপনাকে সন্তানের ভেতরে গড়ে তুলতে হবে।

সন্তানের মাঝে স্বেচ্ছাশ্রমের প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলতে স্কুলের সংগঠনগুলোর পাশাপাশি আপনিও কিছু কাজ করতে পারেন।

ঈদ বা পূজার মতো বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির  আগে বাসার সব পুরোনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে সন্তানকে সাথে নিয়েই একদিন বাসার আশেপাশের গরিব মানুষদেরকে দিতে পারেন। একটু বড় পরিসরে করতে চাইলে আশেপাশে আরো কয়েকজন প্রতিবেশির সাথে কথা বলে তাদের সন্তানদের সহও কাজটি করতে পারেন।

একইভাবে একদিন বাসার পাশের পার্কটি পরিষ্কার করলেন। সবাই মিলে বাসার পাশের রাস্তা থেকে সব ধরণের প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিলেন।

রমজানের সময় একদিন এলাকার গরিব মানুষদের ইফতার করালেন। কিংবা রমজান ছাড়াও কোন এক ছুটির দিনে আশেপাশের প্রতিবেশিদের নিয়ে এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের একদিন খাওয়াতে পারেন। ফলের মৌসুমে করতে পারেন ফল উৎসব।

এভাবে একটু ভাবলেই দেখবেন অনেক কাজ আমাদের সামনে। সন্তানদের সাথে নিয়ে সেইসব কাজ করার মাধ্যমে তাকে স্বেচ্ছাশ্রমের দর্শন বোঝাতে পারবেন। সাথে পারবেন স্বেছাশ্রমের প্রতি আগ্রহী করতেও। তবে খেয়াল রাখবেন সবগুলো কাজে যেন সন্তান সরাসরি অংশগ্রহণ করে। চাইলে আপনি শ্যাডো ম্যানেজার হিসেবে থেকে ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বটা সন্তানকেই দিতে পারেন।

ভলান্টারি  অর্গানাইজেশন

দেশে বিদেশে অনেক নামকরা ভলান্টারি অর্গানাইজেশন রয়েছে। সেগুলোতে চাইলে যে কেউ কাজ করতে পারে। অর্গানাইজেশনগুলোর চাহিদা পূরণ করে সহজেই সেগুলোর সাথে নিজেকে যুক্ত করা যায়।

তবে আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশনে কাজ করতে গেলে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

  • আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনগুলো তাদের বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা করে ভলান্টিয়ার সংগ্রহ করে। কখন, কোন প্রজেক্টের জন্য ভলান্টিয়ার নিচ্ছে তারা তা জানার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখলেই হবে।
  • তবে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করার জন্য পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। আবার অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য ভলান্টিয়ার নেয়। সেক্ষেত্রে আবেদন করার সময় তা দেখে নিতে হবে অথবা নিজ দেশে কাজ করতে চাইলেও তাও উল্লেখ করে দিতে হবে।
  • দেশের বাইরে কাজ করার ক্ষেত্রে সংগঠন দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় সকল খরচ বহন করবে কি না তা আবেদন করার সময় জেনে নিতে হবে।

বাংলাদেশে অনেকদিন ধরে কিছু আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন নিয়মিত কাজ করছে। চাইলে সেগুলোতেও কাজ করতে পারবে যে কেউ। এর মধ্যে Save the Children, UNICEF, United Nations অন্যতম।

তাছাড়াও কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন আছে যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ভলান্টিয়ার সংগ্রহ করে। এমন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের নাম দেয়া হলো নিচে

  • Global Service Crops
  • UNICEF
  • WHO
  • Global Volunteer Network
  • World Volunteer Club
  • Red Cross
  • Volunteer International

বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

বাংলাদেশে ঢাকাসহ প্রায় প্রতিটি জেলা শহরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে। যারা সমাজের অনেক সমস্যা নিয়ে কাজ করে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির নাম ও তাদের কাজ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

  • প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনঃ এই লেখার শুরুতে যেই গল্পটি বলেছি। সেই গল্পটি প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের। প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের ফুড ব্যাংক নামক একটা প্রজেক্টের আওতায় কোন অনুষ্ঠানের বেঁচে যাওয়া খাবার ঢাকা শহরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে একটু স্কুলও চালান প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন।
  • বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনঃ এই সংগঠনটিও খাবার নিয়ে কাজ করে। “১ টাকার আহার” নামের একটা প্রজেক্টের আওতায় ঢাকায় সুবিধাবঞ্চিত ও কম আয়ের মানুষদের মাত্র ১ টাকায় এরা একবেলার খাবার দেয়।
  • বাঁধনঃ রক্ত নিয়ে কাজ করে এই সংগঠনটি। কারো কোথাও রক্তের প্রয়োজন হলে বিনামূল্যে নিজেদের ডোনার দ্বারা রক্ত সংগ্রহ করে দেন তারা। বাঁধন ছাড়াও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ও সন্ধানী নামে আরো দুটি সংগঠন রক্ত নিয়ে কাজ করে।
  • মজার স্কুলঃ ঢাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পথশিশুদের নিয়ে বেশ কয়েকটি স্কুল আছে মজার স্কুল সংগঠনটির। সম্প্রতি ঢাকার বাইরেও তারা এমন স্কুল খোলার পরিকল্পনা করছেন।
  • জাগো ফাউন্ডেশনঃ এরাও শিক্ষা ও যুব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। জাগো ফাউন্ডেশনের কাজের ব্যাপ্তি প্রায় সারাদেশে ছড়িয়ে আছে।

এগুলো ছাড়াও দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ভিত্তিক বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে। একটু খোঁজ খবর নিলেই তাদের খোঁজ পাওয়া যাবে। আপনার সন্তান যে ধরণের কাজ পছন্দ করে সে এইগুলো থেকে সেই কাজটি সহজেই বেছে নিতে পারবে। তার যদি পড়াতে ইচ্ছে করে তাহলে কাজ করতে পারবে পথশিশুদের  শিক্ষা নিয়ে কাজ করা যেকোন সংগঠনে। রক্ত সংগ্রহ নিয়ে কাজ করতে চাইলে তেমন সংগঠন বেছে নিতে পারে সে।

ছোট একটা বিদেশী সত্য গল্প বলি। মার্কিং সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিচারপতি হলেন ব্রেট কাভানা। মার্কিন সিনেটরা তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, এই কাজে তিনি কেন যোগ্য? কাভানা নিজের যোগ্যতাকে অনেকভাবে তুলে ধরলেন। সবার শেষে বললেন, আমি একজন ভলান্টিয়ার। আমার সন্তানের স্কুলের বাস্কেটবল টিমের আমি ভলান্টিয়ার কোচ। সপ্তাহে একদিন করে আমি সেখানে সময় দেই। তিনি নিজের ভলান্টিয়ার পরিচয়টি অনেক গর্ব ও আত্মবিশ্বাসের সাথে দেন।

ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক আপনার সন্তানকে একজন যোগ্য, মানবিক ও স্কিলফুল মানুষ হিসবে তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আপনার সন্তানের সৃজনশীলতা বিকাশে তাকে বিজ্ঞাননাক্স দিন। অনলাইনে বিজ্ঞানবাক্স অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন।

 1,406 total views,  1 views today

What People Are Saying

Facebook Comment