আমরা গতপর্বে লার্নিং ডিসেবিলিটি সম্পর্কে জেনেছি। গত পর্ব পড়ে কি আপনার মনে হয়েছে আপনার সন্তানও লার্নিং ডিসেবিলিটিতে ভুগছে? গবেষণা মতে, বেশিরভাগ শিশুর মাঝেই লার্নিং ডিসেবিলিটি থাকে। সেখান থেকে কিছু সংখ্যক শিশুর লার্নিং ডিসেবিলিটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকে। কম হোক কিংবা বেশি, কোন শিশুর মাঝে লার্নিং ডিসেবিলিটির কোন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।পাশাপাশি শিশুর যত্ন নেয়ার মাধ্যমে লার্নিং ডেসেবিলিটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শিশুর সুবিধা অনুযায়ী পড়ার পদ্ধতি খুঁজে বের করুন
সাধারণ শিশুদের পড়ার ধরণ আর লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুদের পড়ার ধরণ এক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষত্রে শিশু কীভাবে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে তা খুঁজে বের করতে হবে। আপনার সন্তান বই দেখে পড়তে পারছে না কিন্তু দেখা গেলো সে শুনে বা গল্পের ছলে সেই পড়াটা সম্পন্ন করতে পারছে! সেক্ষেত্রে তাকে একটু বেশি সময় দিয়ে তার সুবিধা মতো পড়ানোর চেষ্টা করুন।
আলাদা করে বিশেষ নজর দিন
লার্নিং ডিসেবল শিশুদের জন্য আলাদা করে একক শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। কারণ তাদের প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিলে তারা সহজে শিখতে পারে। চিকিৎসকের সাথে কথা বলে সেই অনুযায়ী শিশুকে আলাদা করে সময় দিতে হবে। স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিশুর বিষয়টা জানিয়ে রেখে স্কুলেও শিশুর প্রতি আলাদা মনোযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।
সন্তানকে বেশি করে অনুশীলন করান
লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুরা প্রায় একই রকম দেখতে সংখ্যা বা বর্ণ উল্টো করে লেখে। যেমন ২৫ কে ৫২ লেখে, b কে d লেখে। লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুদের এমন সমস্যার ক্ষেত্রে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। এই ধরণের শিশুরা আবার একই শব্দের বানান বিভিন্নভাবে লেখে সেজন্যই সঠিক বানানটা বেশি করে অনুশীলন করাতে হবে।
জীবনধারণ স্বাস্থ্যকর করে তুলুন
লার্নিং ডিসেবল শিশুদের জীবনধারণ স্বাস্থ্যকর হতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার ও খাদ্যাভাস, নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনধারণে অভ্যস্থ হলে শিশু মানসিক ভাবে অনেক সুস্থ ও চাঙ্গা থাকবে ফলে শিশুর মন ও মেজাজ সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যা লার্নিং ডিসেবিলিটি প্রতিরোধে অনেক দরকারী।
সন্তানকে জিজ্ঞেস করুন বা প্রশ্ন করুন
শিশু কিছুই বুঝছে না, কিন্তু জিজ্ঞেসও করছে না, এমন কি নিজের প্রয়োজনীয় কোন বিষয়ও বলতে চাচ্ছে না, নিজের আবেগ, অনুভূতি কোন কিছুই প্রকাশ করতে চাচ্ছে না! লার্নিং ডিসেবিলিটিতে আক্রান্ত শিশুদের মাঝে এই সমস্যাগুলো প্রকটভাবে দেখা যায়। সেজন্য শিশুকে বেশি বেশি করে প্রশ্ন করতে হবে। তার কোন প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারলে সেটা তাকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। বেশি বেশি প্রশ্ন করলে শিশু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে ও নিজের সমস্যা বা প্রয়োজনীয়তা নিজে থেকে জানাবে।
আপনার সন্তানের দিকে নজর দিন। হয়তো এমন কোন রোগে সে আক্রান্ত হতে পারে যা আপনি ধরতে পারছেন না। ফলে সময় মতো ব্যবস্থা না নেয়ায় সন্তানের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
তথ্যসূত্র-Webmd
1,612 total views, 2 views today