আপনার সন্তানের আদরে কোন কমতি রাখছেন না। পৃথিবী্তে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন আপনার ছোট্ট সোনামনি সন্তানকে। তাই সন্তানের ভালোমন্দের দিকেও আপনি একটু বেশি খেয়াল রাখেন।আপনার সন্তান ঘন ঘন কাপড় নষ্ট করে বলে আপনি কি অতিরিক্ত ডায়াপার নির্ভর হয়ে পড়ছেন? তাহলে চলুন, আজকে জেনে নিবো অতিরিক্ত ডায়াপার নির্ভরতার কিছু সাইড এফেক্ট।
এলার্জি
ডায়াপার তৈরিতে প্রায়ই সিনথেটিক ফাইবার ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। শিশুর ত্বক অনেক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় সিনথেটিক ফাইবার ও রাসায়নিক, শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সেজন্যই অতিরিক্ত ডায়াপার নির্ভরতার কারণে এলার্জি হতে পারে।
ত্বকে র্যাশ হওয়া
শিশুদের ত্বকে প্রায়ই ডায়াপার র্যাশ দেখা যায়। অনেকক্ষন ধরে ভেজা ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুর ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নেয় যা ত্বকে র্যাশ হতে সাহায্য করে।
ফাংগাল ইনফেকশন
ডায়াপারে পানি ও মল শোষণকারী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় (বিশেষ করে রাতে) যদি শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখা হয় তাহলে শিশুর ত্বক অতিরিক্ত আর্দ্র হয়ে থাকে। যা শিশুর ফাংগাল ইনফেকশনের জন্য দায়ী। তাছাড়া ডায়াপারের শোষনকারী পদার্থের জন্য শিশুর নিম্নাঙ্গে বাতাস চলাচল করতে পারে না। এটা অন্যান্য অনেক ইনফেকশনের কারণ।
টয়লেট ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা
টয়লেট ট্রেনিংয়ের শিক্ষাটা শিশুকে ছোট থেকেই দিতে হয়। প্রায় সব সময় ডায়পার পরিয়ে রাখার কারণে শিশু ডায়াপারের মধ্যেই টয়লেট ও প্রস্রাবে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তিতে টয়লেট ট্রেনিংয়ে শিশু এই অভ্যাস থেকে বের হতে পারে না। এবং স্বভাবতই বাবা-মাকে ঝামেলা পোহাতে হয়।
ডায়াপার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর
ব্যবহৃত ডায়াপার আমরা মাটিতে ফেলে দেই কিন্তু এই ডায়াপারে প্লাস্টিক, সিনথেটিক ফাইবার ও ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারনে এটা মাটির সাথে মিশে যেতে অনেক সময় নেয় যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আরো পড়তে পারেন (জাংকফুডকে না বলুন)
ডায়াপারের বিকল্প কী হতে পারে?
বাজারে এখন ক্লথ ডায়াপার পাওয়া যায়, যা অনেক শিশু বান্ধব ও একই সাথে পরিবেশ বান্ধবও। এইসব ডায়াপারে ক্ষতিকর কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়না বিধায় এটা শিশুর ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় ও সহজেই মাটিতে মিশে যেতে পারে। ক্লথ ডায়াপার একবার ব্যবহার করার পর পরিষ্কার করে অনেকবার ব্যবহার করা যায়।
যতটুকু সম্ভব ডায়াপারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো দরকার। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর ডায়াপার পরিবর্তন করা যেতে পারে। রাতে শিশুকে ডায়াপার না পরানোই উত্তম, যদি পরানো হয় তাহলে নোংরা হওয়ার সাথে সাথে অথবা প্রতি ২-৩ ঘন্টা পর পর পরিবর্তন করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র Paranting Firstcry Kimberlysnyder
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
3,117 total views, 2 views today