প্রথম পর্ব- গতি অসুস্থতার কারণ এবং করণীয়
দ্বিতীয় পর্ব- গতি অসুস্থতার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা
আজকের প্যারেটিং টিপস পর্বে জানবেন কীভাবে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে এর সমাধান করা যায়।
গতি অসুস্থতা থেকে রেহাই পেতে আমরা অনেক পদ্ধতি বের করলেও সবগুলো সবসময় কাজে দেয় না। কারণ যখন আমরা দীর্ঘ গাড়ি ভ্রমণে বের হই তখন গতি অসুস্থতা অনেকটা জাপটে ধরে থাকে। আর সাথে যদি থাকে বাচ্চাকাচ্চা তাহলে ত ভ্রমণে বমি করা, মাথা ঘোরা ,ইত্যাদি গতি অসুস্থতার মুখোমুখি হতে হয় সবাইকে।
দীর্ঘ ভ্রমণের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে মহাকাশযানের মহাকাশ যাত্রার। মহাকাশ যাত্রায় গতি অসুস্থতাকে একটি অতি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মহাকাশ যাত্রায় একজন মহাকাশচারীকে ঘণ্টায় ১৭ হাজার মাইল গতির সম্মুখীন হতে হয়। নাসা কর্তৃক মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে একটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটিতে নাসা “কিভাবে নভোচারীদের মহাকাশ যাত্রার সময় বমি করা বন্ধ করা যায়?” শুধুমাত্র এর পেছনেই প্রচুর সময় ব্যয় করেছে। যার ফলাফল হয়েছে শূন্য।
তারপরেও সারা বিশ্বেই শিশুদের গতি অসুস্থতা ঠেকাতে যেসব ঘরোয়া পদ্ধতির ঔষধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলো আলোচনা করা হল: আশা করি এই প্যারেন্টিং টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
১. আদা:
গতি অসুস্থতা দুর করতে আদা খুব ভালো কাজ করে। অনেকেই তাই আদা রাখেন ভ্রমণের সময়। আমাদের দেশেও বাসে হকাররা বিভিন্ন রকম খাবার নিয়ে উঠলে আদার লজেন্স বা শুকনা আদা বিক্রি করে।
২. জলপাই + লেবু:
বাসা থেকে জলপাই আর লেবুর রস মিশ্রিত শরবত বানিয়ে নিয়ে যাত্রা পথে অল্প অল্প করে খেতে পারেন। আবার শুধু জলপাইও সাথে নিতে পারেন। বস্তুত গতি অসুস্থতায় শুধু জলপাই লেবু-জলপাইয়ের রসের থেকে বেশি কার্যকর।
৩. হালকা গরম পানি+লেবু+মধু:
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চামচ লেবুর পানি সাথে ১ চামচ মধু ভাল করে মিশান। এরপর গাড়িতে উঠার আগ মুহূর্তে খেয়ে নিবেন। এ পদ্ধতি অনেক কার্যকর।
৪. লেবু+আদা:
১ গ্লাস আদার জুসে ১ চামচ লেবুর রস যুক্ত করুন। মিশ্রণটি ভাল করে মিশান। ভ্রমণে যাওয়ার আগ মুহূর্তে খেয়ে নিন। এ পদ্ধতিটিও কাজে দিবে।
৫. পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতা গতি অসুস্থতা বা বমি বমি ভাব দুর করতে অনেক উপকারী বন্ধুর কাজ করে। আর এই পদ্ধতিটিও অনেক সহজ। আপনি শুধুমাত্র কিছু পুদিনাপাতা সাথে নিয়ে গাড়িতে উঠুন। ব্যাস, এরপর থেকে খারাপ লাগলেই পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে একটু একটু করে চুষতে থাকুন। যাদুর মতো কাজ করবে আশা করা যায়।
৬. শুকনো খাবার:
চিপস, চানাচুর, বুট-ভাজা বা যেকোনো রকমের শুকনা খাবার ইত্যাদি যে খাবার গুলো অল্প অল্প করে অনেক্ষন খাওয়া যায়। এগুলো আপনার দ্বিধায় থাকা মস্তিষ্ককে বিচলিত হওয়া থেকে বিরত রাখবে।
৭. লজেন্স:
চুষে খাওয়া যায় এরকম যেকোনো খাবারই গতি অসুস্থতা দুর করতে ব্যাপক কাজে দেয়। বিশেষ করে টক বা হালকা ঝাঁজযুক্ত লজেন্স খেতে পারেন।
৮. চুইংগামঃ
অনেকের কাছে গতি অসুস্থতা উপশমে চুইংগাম কার্যকরী ওষুধের মত। সুতরাং সাথে চুইংগাম রাখতে পারেন।
একটি গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন যে কেউ গতি অসুস্থতার সময়ে যদি বেশি পরিমাণে পানির ব্যাবহার করে আবার খুব সাধারণভাবে যদি বসার স্থান পরিবর্তন করে, তাহলে এর কিছুটা লাঘব হয়। কিন্তু তারপরেও কেউ নির্দিষ্ট করে ব্যাখ্যা করতে পারছে না যে, ঠিক কী কারণে গতি অসুস্থতা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
959 total views, 2 views today