সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য তাকে বাবা-মায়ের সময় দেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি হয়তো সবসময় আপনার সন্তানকে সময় দেন। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন হয়, ব্যস্ততার কারণে হয়তো তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে পারছেন না। কিংবা আপনার মনে হচ্ছে সন্তানকে আরো বেশি করে সময় দেয়া উচিত! কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে? একটু চেষ্টা করলেই আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার সময়গুলোতেও চাইলে সন্তানের সাথে কিছু ভালো সময় কাটানো যায়। বিজ্ঞানবাক্স ব্লগ থেকে জানুন ও সন্তানকে সময় দিন ।
সকালের নাস্তা একসাথে করুন
আমাদের ব্যস্ততা থাকেই। কিন্তু সেই ব্যস্ততার জন্য সন্তানকে অবহেলা করা যাবে না, ব্যস্ততার মাঝেই সময় বের করে সন্তানকে সময় দিন । যত ব্যস্ততাই থাকুক, চেষ্টা করুন সন্তানকে সাথে নিয়ে সকালের নাস্তাটি করতে। আপনিই ভাবুন-আপনার সন্তানের সকাল যখন আপনার সাথে নাস্তার টেবিলে একটু আনন্দ, খুনসুটি, মজা আর গল্পে শুরু হবে সেটা কতটা সুন্দর হবে আপনাদের জন্য। আপনার সন্তানের যেমন ভালো লাগবে, নিশ্চয়ই আপনারও ভালো লাগবে! আর নাস্তার টেবিলে তার স্কুল, নতুন বন্ধু কিংবা যেকোন কিছু নিয়ে এক পর্ব গল্পও কিন্তু হয়ে যেতে পারে! চাইলে সন্তান একটু বড় হলে তাকে নিয়ে সকালে হাঁটতেও বের হতে পারেন।
একসাথে ঘর গোছাতে পারেন
ঘরের টুকটাক গোছগাছের কাজতো আমরা প্রতিদিনই করি। জামা কাপড় গুছিয়ে রাখা থেকে শুরু করে আসবাবপত্র মোছামুছির কাজ। মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলেই এইসব কাজের সাথে আপনার সন্তানকেও যুক্ত করতে পারেন। তাকে সাথে নিয়ে এইসব কাজ করলে তার সাথে একটা ভালো সময়তো কাটাতে পারবেনই সাথে সে অনেক কিছু শিখতে পারবে। দায়িত্বশীলতা, যত্নশীলতা, সাহায্য করার মানসিকতা ইত্যাদি গুণ তার মাঝে সহজেই গড়ে উঠবে।
রান্নার কাজেও তাকে যুক্ত করতে পারেন
রান্নাবান্নার কাজে সন্তানকে যুক্ত করার মাধ্যমে তার সাথে কাটাতে পারেন কিছু ভালো সময় ও একই সাথে সে অনেক কিছু শিখতেও পারবে। সবজি ধুঁয়ে দিতে বলা, ছোট খাটো কিছু এগিয়ে দিতে বলা ইত্যাদি কাজগুলো তাকে দিয়ে করাতে পারেন। রান্না করাও দেখুক ও টুকটাক শিখুকনা আপনার পাশে থেকে!
রাতে ঘুমানোর আগে গল্প করুন
আপনার শৈশবের কথা মনে পড়ে! মা কিংবা দাদুর পাশে শুয়ে গল্পে গল্পে ঘুমিয়েছেন যে রাতগুলো, সে রাতগুলো কতইনা সুন্দর ছিলো। হয়তো মনের কোন এক কোনে আজও রয়ে গেছে সেইসব স্মৃতি। আপনার সন্তানেরও থাকুক না এমন কিছু স্মৃতি। রাতে একসাথে ঘুমাতে যান তার সাথে অথবা তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিন গল্পে গল্পে। আপনার শৈশবের গল্প তার সাথে শেয়ার করতে পারেন, তার পছন্দের গল্পের বই থেকে একটা গল্প পড়ে শুনাতে পারেন কিংবা ছড়া, মজার কোন জোকসও বলতে পারেন কিংবা শুনতে পারেন তার কোন গল্প। এর ফলে সন্তানের সাথে আপনার বন্ধন অনেক দৃঢ় হবে।
হোমওয়ার্কে সাহায্য করতে পারেন
সন্তানের হোমওয়ার্কে সাহায্য করার মাধ্যমেও আপনি সন্তানকে কিছু কোয়ালিটি টাইম দিতে পারেন। একসাথে জানাও হলো তার কোন বিষয় ভালো লাগে, কোন বিষয় ভালো লাগে না। সন্তানের দূর্বলতা ও শক্তির জায়গাও জানা যাবে। এই সময়ে তার সাথে স্কুল কেমন লাগছে, স্কুলে কোন মজার ঘটনা ঘটছে কী না তাও জেনে নিতে পারবেন।
সন্তানকেতো নিয়মিত সময় দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এই সময়গুলোও তার সাথে কাটান তাহলে ব্যস্ততার কারণে সন্তানকে কম সময় দেয়াটাও পূরণ হয়ে যাবে। সন্তানকে সময় দিন আর তার মাধ্যমে সন্তানের মাঝে দায়িত্বশীলতা, যত্নশীলতার মতো অসাধারণ কিছু গুণ গড়ে তুলুন।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,898 total views, 1 views today