শীলকালে ঠান্ডাজনিত অনেক সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, অ্যাজমা সহ অন্যান্য শীতকালীন অসুখ শীত বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে যায়। আর শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে এইসব শীতকালীন অসুখ শিশুদেরকে সহজেই আক্রমণ করে। এই অসুখ গুলো খুব একটা চিন্তার কারণ না হলেও বেশ যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর। এমন ছোটখাটো শীতকালীন অসুখ ঔষধ ছাড়াও ঘরোয়া কিছু সমাধানে সেরে যায়। বিজ্ঞানবাক্স ব্লগে থাকছে এমনই কিছু শীতকালীন অসুখের ঘরোয়া সমাধান।
গলার সমস্যায় লেমন, মধু ও আদা
শীতকালের সাথে গলাব্যথার একটা নিবিড় ও আত্মায় সম্পর্ক আছে! শীতকাল আর গলা ব্যথা হবে না তা মানাই যায় না! আপনারও হতে পারে, হতে পারে আপনার সন্তানেরও। এই গলা ব্যথার চিন্তায় মাথা ব্যথা ঢেকে না এনে ঘরে থাকা লেমন, মধু ও আদার রস একসাথে মিশিয়ে সন্তানকে খাওয়াতে পারেন। বেশি উপকার পাবেন যদি এক কাপ গ্রিন টি এর সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারলে। সবগুলো উপাদান ঘরে না থাকলেও যে কোন দুইটা উপাদান একসাথে মিশিয়ে খাওয়ালেও উপকার পাবেন। সন্তানের গলা ব্যথার জন্য খেতে পারেন, খেতে পারেন আপনার গলা ব্যথা হলেও।
সর্দি দূর করতে ঘি
সর্দি শুধু সমস্যা না, এটা একটা লজ্জাজনক সমস্যা। ছোট বাচ্চাদের সর্দি হলেতো তা একেবারে লেজে গোবরে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর সর্দি হলে তার জন্য রাতে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য সর্দির সাথে এক প্রকার যুদ্ধ করা লাগে। কিন্তু ঢাল তলোয়ার ছাড়া যুদ্ধ না করাই উত্তম। ঢাল তলোয়ার বলায় এত সিরিয়াসলি নিবেন না। এখানে তলোয়ার হিসেবে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ভালো করে হাত ধুঁয়ে একটা আঙ্গুল তরল ঘি-এর বোতলে চুবিয়ে ঘুমানোর আগে তা নাকের মধ্যে লাগান। নিঃশ্বাস নেয়ার সময় কিছুক্ষণ হালকা নাক ডাকার মতো শব্দ হলেও এটা কাজ করবে একদম ম্যাজিকের মতো।
খুশকুশে কাশি দূর করুন ঘরেই
শীতে খুশখুশে কাশি অহরহই হয়। খুশখুশে কাশির ফলে বুকে ও গলায় অস্বস্তি লেগেই থাকে। এই খুশকুশে কাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ে অনেক সহজেই দূর করা যায়। আপনার সন্তানের খুশকুশে কাশি হলে একগ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামুচ হলুদ মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। তাছাড়া আদা চাও খুশখুশে কাশি দূরীকরণে বেশ কার্যকর। তাছাড়া মেসরিও খাওয়াতে পারেন তাকে। মেসরি খেতে শিশু বেশ পছন্দও করবে, এটা শুকনো কাশির জন্যও উপকারী। শীতকালে পানি কম খাওয়ার ফলে মূলত শুকনো কাশি হতে পারে। সেজন্য শীতকালেও শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে চেষ্টা করুন।
অ্যাজমার অ্যাটাকে সরিষার তেল মালিশ
অ্যাজমার সমস্যায় ভোগা শিশুদেরকে শীতকালে অ্যাজমা বেশি অ্যাটাক করতে পারে। শিশুর অ্যাজমা অ্যাটাকে সরিষাত তেল মালিশ বেশ উপকারী। হুট করে শিশুর অ্যাজমা অ্যাটাক হলে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে হালকা গরম সরিষার তেলের সাথে হালকা লবন মিশিয়ে শিশুর বুকে মালিশ করুন। তাছাড়া শিশুর গায়ে তেল মালিশ করলে শিশুর রক্ত চলাচলও ভালো থাকে।
শীতের সমস্যা প্রতিরোধে গরম স্যুপ
শীতকালীন অসুখের মূল কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। তাছাড়া শরীর ঠান্ডা আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে অনেক এনার্জি খরচ করে। ফলে শরীর ক্লান্তি অনুভবও করে।মূলত এই কারণেই শীতকালে আমাদের শরীরে ছোটখাটো ইনফেকশন দেখা দেয়। শীত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারলে অনেকাংশে এইসব সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। এজন্য গরম কাপড় পরিধানের পাশাপাশি গরম স্যুপ, গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীর বেশ উষ্ণ থাকবে ও শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
শীতে শিশুদের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন আছে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শীতে তাদেরকে সহজে রোগের জীবাণু আক্রমণ করতে পারে। সেজন্য শিশুদের শীতকালে সঠিক যত্ন নিন, রোগ প্রতিরোধ করুন শক্ত হাতে।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স কেনার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
তথ্যসূত্র-parentingfirstcry
1,627 total views, 1 views today