অ্যালোভেরা কী?
টিভিতে বিভিন্ন ত্বক চর্চা বিষয়ক প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের সুবাদে অ্যালোভেরার নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, অ্যালোভেরা শুধু ত্বক চর্চার লোশন আর ক্রীমেই ব্যবহৃত হয় না। শিশুর যত্নে অ্যালোভেরা হচ্ছে অসাধারণ ও অপরিসীম প্রাকৃতিক ভেষজ গুণাবলী সমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ।
অ্যালোভেরার পুষ্টি উপাদান
• অ্যালোভেরা হচ্ছে প্রাকৃতিক চিনি, এতে ফলশর্করা(ফলের রসে যে শর্করা পাওয়া যায়) ও গ্লুকোজ বিদ্যমান।
• অ্যালোভেরায় কিছু এনজাইম আছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমায় ও অ্যালার্জির প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
• অ্যালোভেরায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, সোডিয়াম ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
শিশুর যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা;
ত্বকের যত্ন
শিশুর জন্য সূর্যের আলো অনেক উপকারী। কিন্তু শিশুর ত্বক অনেক নরম ও স্পর্শকাতর হওয়ায় সূর্যের আলোয় শিশুকে বেশি সময় রাখলে শিশুর ত্বক লাল হয়ে যায়, ত্বকে প্রদাহ হয়, কখনো কখনো হালকা পুড়েও যেতে পারে। এইসব সমস্যা দেখা দিলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার জেলে শীতলীকরণ উপকরণ রোদ থেকে আনার পর শিশুর ত্বককে ঠান্ডা ও প্রশমিত করে।
একজিমা ও র্যাশ প্রতিরোধে
অনেক শিশুরই একজিমা ও র্যাশ হয়ে থাকে। একজিমা ও র্যাশ শিশুর ত্বকের জন্য অনেক অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। একজিমা ও র্যাশের ফলে শিশুর ত্বকে প্রদাহ বাড়ে ও লাল ফোসকা দেখা যায়। একজিমা ও র্যাশ আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করলে শিশুর ত্বকের প্রদাহ কমে ও লাল ফোসকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কাটা ও পোড়ার যত্নে
অসাবধানতা বসত শিশুর কোথায় কাটা যেতে পারে কিংবা পুড়েও যেতে পারে। শিশুর ত্বক নরম হওয়ায় কখনো কখনো শিশুর নিজের নখের আচড়েও ত্বক কেটে যেতে পারে কিংবা সামান্য গরম কিছুর সংস্পর্শে পুড়েও যেতে পারে। কাটা ও পোড়ার যত্নে অ্যালোভেরার জেল অনেক উপকা্রী একটা ভেষজ তরল। আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগালে তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সাহায্য করে।
ডায়াপার র্যাশ প্রতিরোধে
শিশুকে নিয়মিত ডায়াপার পরানোর ফলে শিশুর ডায়াপার র্যাশ হয়ে থাকে। আর ডায়াপার র্যাশ শিশুর জন্য অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর। শিশুর ডায়াপার র্যাশ হলে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগালে উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া ডায়াপার র্যাশের ফলে জন্ম নেয়া ব্যকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল প্রতিরোধেও অ্যালোভেরার জেল উপকারী।
তাছাড়া অ্যালোভেরা জুস ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, অ্যালোভেরার জুস পাকস্থলী ঠান্ডা রেখে গ্যাসের সমস্যা দূর করে ও হজম শক্তি বাড়ায়। অ্যালোভেরার জুস দাঁতের ইনফেকশন নিবারণে সহায়তা করে। অ্যালোভেরার জুস শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, দূষিত রক্ত শরীর থেকে বের করে দেয়ার মাধ্যমে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন- রোগ প্রতিরোধে পেয়ারার কার্যকার ভূমিকা।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
3,224 total views, 1 views today