একটা সময় ছিলো, জন্মের পর পরই শিশুরা পোলিও, ধনুষ্টংকার, যক্ষা, হামের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতো। তখন দেশে শিশু মৃত্যুর হারও ছিলো ব্যাপক। সময়ের সাথে সাথে এইসব রোগের সাথে লড়াই করার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান বেশ কার্যকর কিছু টিকার মাধ্যমে শিশুদের এইসব রোগের প্রতিকারও আবিষ্কার করে ফেলে। শিশুর টিকা দেয়ার ফলে দেশে-বিদেশে শিশু মৃত্যুর হারও প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
আপনার শিশুকে এইসব মরণঘাতী রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সঠিক সময়ে টিকা দেয়া জরুরী। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের জানা শোনা কম বলে আমরা অনেকক্ষেত্রে টিকা দেয়ার বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সাথে নেই না। ফলে প্রতিষেধক থাকার পরও আমাদের শিশুরা আক্রান্ত হয় এইসব ভয়ানক রোগে। তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইউনিসেফের সহযোগিতায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের ৬ টি রোগের টিকা একদম ফ্রি তে নেয়া সম্ভব। সেগুলো হলো-পোলিও, ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া, হাম, যক্ষা, হেপাটাইসিস-বি, হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা। আজকের ব্লগে আমরা এইসব টিকা দেয়ার সময়, কোথায় দিবেন; ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো। একই সাথে শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য আরো কিছু টিকা সম্পর্কে।
ইপিআই সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির টিকার তালিকা।
[table id=25 /]
জলবসন্ত, টাইফয়েড ও হেপাটাইটিস-এ এর টিকা EPI কর্মসূচির মাধ্যমে দেয়া হয় না। তবে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই সকল টিকাও শিশুকে দিয়ে রাখা জরুরী। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে এই সকল টিকা দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। নিকটস্থ ভ্যাকসিনেশন সেন্টার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংব আশেপাশের হাসপাতালে খবর নিলেও এই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
EPI টিকা কোথায় পাওয়া যাবে?
EPI কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুর টিকা নেয়ার জন্য উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করুন। অথবা স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাখতে পারেন। সন্তান জন্মের সাথে সাথে তার সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
2,466 total views, 1 views today