প্রতিটি শিশুই একেক জন ক্ষুদে আবিষ্কারক। তারা উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে দেখছে, শিখছে, নতুন নতুন আবিষ্কারের আনন্দে অভিভূত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী নিজেরাই তারা বের করে নিতে পারে কত রকম খেলা। তাই বলা যেতে পারে, খেলা আপনার শিশুকে দিচ্ছে নিজদের শক্তি আর দক্ষতা বাড়ানোর সুবিধা। তাই সন্তানের জন্য খেলনা বাছাইয়ে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন আজকালকার গবেষক এবং শিক্ষকরা। কিন্তু দোকানে সাজিয়ে রাখা রকমারি খেলনার মধ্য থেকে ঠিক কোনটা বাছাই করা ঠিক হবে, সেটা নিয়ে থেকে যায় দ্বিধা, কিংবা হয়ে যায় ভুল।

আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতেই, এই নিবন্ধে বিভিন্ন কেইস স্টাডির প্রেক্ষিতে শিশুদের খেলনা বাছাই সংক্রান্ত আলোচনা এবং টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি। কী ধরণের খেলনা বাছাই করবেন আপনার সোনামণির জন্য?

১। সমস্যা সমাধানে এবং আবিষ্কারে আগ্রহী করবে এমন খেলনা প্রয়োজন শিশুদের জন্য 

খেলা শিশুদের বার বার নতুন নতুন কাজ এবং দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে। সুতরাং, শিশুদের কিছু আবিষ্কারে সাহায্য করে, লজিক্যালি চিন্তা করতে ও সমস্যা সমাধান করতে শেখায়; এমন খেলনা শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাজল, শেপ সর্টারস, ব্লক, নেস্টিং ব্লক, চারু ও কারুকলার সামগ্রী, যেমন-ক্রেয়ন, মাটি, পেইন্টিং এর অন্যান্য রঙ, এ ধরণের খেলনা হিসেবে বিবেচিত।

এছাড়াও, বাজারে এমন কিছু শিক্ষামূলক খেলনা পাওয়া যায়, যেগুলো দিয়ে নানা বয়সেই খেলতে পারবে শিশু আবার শিখতেও পারবে অনেক কিছু। ‘অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স’ও এ ধরণেরই একটি খেলনা। এটা দিয়ে শিশু খেলতে খেলতে বিজ্ঞান শিখবে। এক দিকে পাবে খেলার আনন্দ, অন্যদিকে পাবে নতুন কিছু জানার এবং সমস্যা সমাধানের  আনন্দ।

আসলে শুধু বিনোদন নির্ভর নয়, শিশুদের জন্য প্রয়োজন এমন খেলনা যা তাদের মস্তিষকেও শানিত করবে।

 

২। বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায় এমন খেলনা বাছাই করা যুক্তিসঙ্গত 

শিশুরা একটার সঙ্গে আরেকটা যোগ করা, সরিয়ে রাখা, টেনে বের করা, ভেতরে ঢোকানো- এই ধরণের খেলায় আগ্রহী হয়ে থাকে। কাজেই এমন কোন খেলনা বাছাই করা ভালো, যা দিয়ে সে বিভিন্ন রকমের খেলা খেলতে পারবে। বিভিন্ন ধরণের ব্লক কিনতে পাওয়া যায় খেলনা দোকানে। কাঠের বা প্লাস্টিকের ইন্টারলকিং ব্লক। এগুলো দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ –এমন হরেক রকমের মজার জিনিস বানানো যায়। অর্থাৎ, একই উপকরণ দিয়ে সে নিজেই বানিয়ে নিতে পারবে অনেক কিছু আর পাবে পাবে নতুন নতুন খেলনা দিয়ে খেলার মজা।

 

৩। দীর্ঘদিন খেলতে পারবে এমন খেলনাও গুরুত্বপূর্ণ শিশুদের জন্য 

এমন অভিজ্ঞতা অভিভাবকদের প্রায় সবারই কম-বেশি হয়েছে। একটা খেলনা কিনলাম এতো দাম দিয়ে, প্রথম প্রথম এতো আগ্রহ দেখাল বাবু; কিন্তু দুই দিন পরই সেই আগ্রহে ভাটাও পড়ে গেল। সেই খেলনা দিয়ে খেলার ইচ্ছে আর তার হয় না। আসলে, সময় যত গড়ায়, বা বয়স যত বাড়ে, শিশুদের মধ্যে নানা রকম মানসিক পরিবর্তন আসে। তাই তার জন্য বাছাই করতে হবে এমন খেলনা, যেটার আবেদন সময়ের পরিবর্তনেও সহজে ফুরাবে না। একটা উদাহরণ দেয়া যাক- একেবারে ছোট শিশুরা, দুই থেকে চার বছর বয়স যাদের, তারা হয়ত প্লাস্টিকের হাঁস বা মুরগী নিয়ে খেলবে। কিন্তু আরও বড় হলে তার ইচ্ছে হবে সেই হাঁস বা মুরগীর জন্য ঘর বানাতে। কাজেই বেশি দিন খেলতে পারবে এমন খেলনা খুঁজে বের করতে হবে শিশুদের জন্য।

বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

 563 total views,  1 views today

What People Are Saying

Facebook Comment