আমরা সবাই জানি, যা কিছুই আমরা খাই না কেন, শরীরে তার কোন না কোন প্রভাব আছেই। তবে ‘কী খাচ্ছি’, তার পাশাপাশি ‘কখন খাচ্ছি’ সেটাও গুরুত্বপুর্ণ। কোন খাবার কখন খাওয়া বেশি উপকারী, আর কোন খাবার কখন খাওয়া উচিত নয়, সেটা বুঝতে পারলে ডায়েটিং-এ আরো সুবিধা। আসুন জেনে নেয়া যাক-
ডার্ক চকোলেট
সকালের নাশতায় কয়েক পিস ডার্ক চকোলেট রাখুন। ডার্ক চকোলেট আপনার শরীরে এন্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে এবং হৃৎপিন্ড সবল রাখবে। এটা এক ধরণের এন্টি-এজিং খাদ্যও। তবে, স্ন্যাকসটাইমে চকোলেট না খাওয়াই ভালো।
মাংস
মাংস আয়রনের খুব ভালো উৎস। শরীরের কোষ এবং অর্গ্যান সিস্টেমে জীবনদায়ী অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। কিন্তু মাংস যেহেতু হজম হতে ৫-৬ ঘন্টা লেগে যায়, তাই রাতে নয়, বরং দুপরের খাবারে মাংস রাখাই উত্তম।
কমলা
কমলা হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে কমলা না খেলেই ভালো। তাতে গ্যাস্ট্রিক বাড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই, সকালে না খেয়ে বরং স্ন্যাকটাইমে কমলা খান।
পাস্তা
পাস্তা উচ্চ মানের ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়। তাই পাস্তা খাওয়া উপকারী তো বটেই। কিন্তু ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার বলে রাতে পাস্তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পাস্তা বরং সকালের নাশতা হিসেবে কিংবা দুপুরে খাওয়া যেতে পারে।
আলু
আলুর শর্করা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। কিন্তু উচ্চ মানের ক্যালরিসমৃদ্ধ হওয়ায় রাতের এবং দুপুরের খাবারে আলু বর্জন করে সকালে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে বেশি ভালো।
কলা
কলা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। পাকা কলা হজমে সহায়তা করে এবং বুকজ্বলা কমায়। কিন্তু রাতে কলা খেলে বরং উল্টোটাই ঘটতে পারে, মানে হজমে গন্ডগোল হতে পারে। কলা খান লাঞ্চটাইমে।
চিনি
চিনির ক্যালরি ক্ষয় হয় সহজেই। কিন্তু রাতে চিনিযুক্ত খাদ্য গ্রহণে ওজন বাড়তে পারে। চিনিযুক্ত খাদ্য তাই সকালের নাশতাতেই ভালো।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,880 total views, 1 views today