একটি মানুষের জীবন চক্রটা কোথা থেকে শুরু হয় কেউ বলতে পারেন? এই যেমন ধরুন রবীন্দ্রনাথ, সে কবে থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়েছেন সেটা ঠিক করে কেউ বলবেন কী! আবার ডিজাইনের শুরু স্টিভ জবস কবে থেকে ক্রিয়েটিভ হিসেবে বিকশিত হয়েছে সেটার উত্তর কে বলবে! আচ্ছা এসবের আসলে ধরাবাধা কোন উত্তর নেই। কারণ জীবন চক্রের পুরো সময়টাই লেগে যায় পরিণত হতে। তবে সঠিক বীজটা যে সেই অপরিণত বয়সেই বপন করতে হয়।
শিশুকাল থেকেই যদি তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া হয় এবং তাদের কৌতূহলকে প্রাধান্য দিয়ে উৎসাহ দেয়া যায়, তাহলে আজকের শিশুই আগামী দিনের সম্পদ হবে। দেশের হয়ে জয় করবে সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাজের কাজটা কিন্তু বাবা-মাকেই করতে হয়। কারণ- সন্তানের সবচেয়ে আপন এবং কাছাকাছি তারাই থাকেন। সন্তানের গতিবিধি, আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তাদের সাথে বন্ধুর মত মিশতে হবে। তাদের বায়নাগুলোর মধ্যে শিক্ষণীয় কোন বিষয় আছে কিনা সেটা বিবেচনা করতে হবে।
খেলনা শিক্ষণীয় হবে কি না
এই যেমন শিশুর জন্মদিন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল কিংবা সখের বশে তাদের অনেক খেলনা কিনে দেয়া হয়। এই খেলনা তাদের আনন্দের সাথে সাথে কতটুকু কী শিক্ষাচ্ছে সেটাও বিবেচনা করতে হবে। বয়সের ভিন্নতা দেখে তাদের খেলনার ধরনও পরিবর্তন করা যেতে পারে।
উপহার হিসেবে বই
বই হচ্ছে উপহারের সেরা উপকরণ। এরচেয়ে ভালো উপহার হতে পারে না। কারণ বই এর মধ্যে মানুষের বিকশিত হবার উপকরণ গুলো বিদ্যমান থাকে। বয়সের তারতম্য বিবেচনা করে শিশুদের কমিক্স বই দেয়া যেতে পারে। বেশি ছবি যুক্ত বই পড়তে পছন্দ করে না এমন বাচ্চা পাওয়া যাবে না। তাই বাজারে ভালো কিছু কমিক্সের বই থেকে তাদের বই পড়ার উপর আগ্রহ বাড়ানো যেতে পারে।
বাচ্চারা যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করবে তখন বাচ্চাদের সায়েন্স ফিকশনের উপর মজার মজার বই পড়তে দেয়া উচিত। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা এমন অনেক মজার বই আছে। যেগুলো বাচ্চাদের কল্পনা শক্তিকে আরো বেশি প্রখর করবে। আর সৃজনশীল শিক্ষার জন্যে কল্পনা শক্তির বিকল্প নেই। সৃজনশীল শিক্ষা বলতে বই পত্রের সৃজনশীল নয়, এখানে মূলত নান্দনিক এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তা ভাবনা করা শক্তিকে বুঝানো হয়েছে। শিশুরা যখন বাস্তব সম্মত ক্রিয়েটিভ কিছু ভাববে তখন থেকে তার বড় হওয়া শুরু। হয়ত এমন কোন চিন্তা ভাবনা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা স্টিভ জবস’রা বেরিয়ে এসেছেন।
খেলনা হিসেবে বিজ্ঞান উপকরণ
মাধ্যমিকে পা দিলেই মা-বাবার চিন্তা শুরু হয়ে যায়। ছেলে-মেয়েকে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করাবেন। কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাই এভাবে গড়ে উঠেছে। এখানে বিচক্ষণ অভিভাবক দুইটি বিষয় বিবেচনা করেন। এক, শিশুর ঝোঁক কোন বিষয়ে এবং দুই, শিশু কোন বিষয়গুলো ভালো পারছে।
বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনার উপকরণ তেমন পাওয়া যায় না। তাই আমাদের শিশুরা শুধু পাঠ্যবই পড়ে কিন্তু ঐ বিষয়ের উপর ব্যবহারিক কোন ধারনা পায় না। এই জন্যেই মাধ্যমিকে এসে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান শেখার আগ্রহ খুবই কমে গেছে। শিক্ষাবোর্ডের রেকর্ড অনুয়ায়ী প্রতি বছর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ক্রমশ কমছে। এর কারণ তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো ধারনা পাচ্ছে না। বিষয়গুলো মুখস্থ করতে গিয়ে কঠিন হয়ে যায়। তাই তাদের যদি বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যবহারিক টুলস হাতে দেয়া যায় তাহলে আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সন্তানের জন্মদিনে তাই সায়েন্স কিট উপহার দিতে পারেন। এতে তার অবসর কাটবে, সে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানবে এবং আনন্দ নিয়ে শিখতে পারবে। বাজারে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সের জন্যে “অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স” পাওয়া যায়। মোট ছয়টি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে বানানো হয়েছে এই সায়েন্স কিট। যা কিনা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট। তাদের ওয়েবসাইট, যেকোন সুপারশপ এবং রকমারি.কম এ পাবেন এসব সায়েন্স কিট।
খেলনা দিয়ে খেলতে দিন
অভিভাবকেরা অনেক সময় দামী খেলনা কিনে দেন। বেশির ভাগ সময়ে দেখা যায় নষ্ট হয়ে যাবার ভয়ে সেগুলো শো-কেসের মধ্যে লক করে রেখে দেয়া হয়। এতে করে শিশুদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর খেলনা দিয়ে দিলেই কি সব হয়ে যায়! খেলনা থেকে সে কী শিখছে সেটাও লক্ষনীয়। কারণ আজকে যা শিখবে সেটাই তার সারাজীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।
তাই বিচক্ষণ অভিভাবকের এখনই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার। এখন তো অমর একুশে বইমেলা চলছে। সন্তানদের নিয়ে সেখানে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের বই কিনে দেয়া যেতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি শিশুদেরকে সুন্দর করে পরিচালনা করতে পারলে এরা দেশ এবং দশের সম্পদ হবে।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,090 total views, 2 views today