অনেক বাবা-মা’র মতো আপনিও আপনার সন্তানের একাডেমিক সফলতা নিয়ে চিন্তিত? সন্তানের একাডেমিক সফলতা কেবল স্কুলের পড়ালেখা আর হাউজ টিউটরের উপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে সঠিক ফলোআপ এর ওপর। সেখানে বাবা-মা’র দায়িত্বই থাকে সবচেয়ে বেশি। আপনি আপনার সন্তানের একাডেমিক সফলতা’র জন্য সঠিকভাবে ফলোআপ করছেন তো? মিলিয়ে দেখুন বিজ্ঞানবাক্স ব্লগের টিপসগুলোর সাথে।
হাউজ টিউটরের সাথে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে
হাউজ টিউটর রাখলেই কিন্তু বাবা-মা’র দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সন্তানের পড়ালেখায় দুর্বলতা ও শক্তির জায়গা জানার জন্য নিয়মিত হাউজ টিউটরের সাথে আলোচনা করতে হবে। এরপর সন্তানের দুর্বলতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে। একই কাজটা স্কুলের শিক্ষকের সাথেও করতে হবে। স্কুলের শিক্ষকের আলোচনায় আপনি পড়ালেখার পাশাপাশি সন্তানের আচরণ নিয়েও একটা ধারণা পাবেন। ফলে তার অগ্রহণযোগ্য আচরণগুলোর সমাধান করতে পারবেন।
হোমওয়ার্কে নজর রাখতে হবে
সঠিকভাবে হোমওয়ার্কে করা মানে ধীরে ধীরে সে একাডেমিক সফলতার জন্য তৈরি হওয়া। সন্তানকে স্কুল থেকে কোন হোমওয়ার্ক দিলে তা সঠিক সময়ে সম্পন্ন করার জন্য তাকে উৎসাহ দিতে হবে। প্রয়োজনে তার হোমওয়ার্ক জেনে নিয়ে তা সে সম্পন্ন করেছে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। হোমওয়ার্ক করতে তার কোন সাহায্যের দরকার পড়লে তাও করুন। তবে সন্তানকে নিজে নিজে হোমওয়ার্ক করতে দেয়াই উত্তম। তবে তার সাহায্যের প্রয়োজন হলে সাহায্যের পাশাপাশি পড়া ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে পারেন।
স্কুলের পারফরমেন্স পর্যালোচনা করতে হবে
শিক্ষকদের সাথে আলোচনা, তার পারফরমেন্সের পর্যালোচনা, পরীক্ষার খাতা ইত্যাদি নিয়মিত দেখতে হবে। দেখে তার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারেন ও কোন জায়গায় উন্নতি করার প্রয়োজন থাকলে তা নিয়ে কাজ করতে পারেন। অনেক শিশু আছে যারা অনেক চঞ্চল ও মেধাবী, কিন্তু পরীক্ষার খাতায় ঠিকভাবে লিখতে পারে না, স্কুলের পারফরমেন্স হয়তো ভালো না, কিংবা তার জানা বিষয়টিও সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। আপনি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা খুঁজে বের করতে পারলে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা করতে পারবেন।
তার স্কুলের সময় সম্পর্কে জানতে চাইতে হবে
সন্তানের সাথে তার স্কুলের সময়টা সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তার প্রিয় বন্ধু, কোন মজার ঘটনা, কোন শিক্ষকের পড়া ভালো লাগে, কোন বিষয়ের ক্লাস বিরক্ত লাগে ইত্যাদি জানতে চেয়ে তার স্কুলের প্রতি আপনার আগ্রহটা প্রকাশ করতে পারেন। তার স্কুলের প্রতি আপনার আগ্রহ দেখলে তার মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করবে। একই সাথে আপনি তার পছন্দের বিষয় ও দুর্বল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং সন্তানের সাথে গল্প তো হবেই!
বই পড়ায় অভ্যস্ত করতে হবে
স্কুলের পড়ার পাশাপাশি সন্তানকে শিক্ষামূলক বই, গল্পের বই, বিভিন্ন কিশোর গোয়েন্দা সিরিজ, বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলোর মতো শিশুদের উপযোগী শিক্ষামূলক ম্যাগাজিন পড়ায় উৎসাহিত করতে পারেন। এতে তার বই পড়ার অভ্যাস বাড়বে, নতুন কিছু জানতে পারবে ও চিন্তার জগত বড় হবে। ম্যাগাজিনগুলোতে অনেক মজার তথ্য থাকে, থাকে অনেক অনুপ্রেরণাও। সেখানে অনেকের সফলতার গল্প পড়ে সে পড়ালেখার জন্য উৎসাহ পাবে। আর গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে সবসময় পরীক্ষার জন্য পড়ার যে বিরক্তি তা দূর হবে।
পড়ালেখাকে বাস্তবিক করে তুলতে হবে
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন অধ্যায় পড়ানোর আগে ঘুরে আসুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশের কোন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়ানোর সময় তার সাথে সন্তানের পরিচয় করিয়ে দেন। গতির সূত্র পড়ানোর আগে একটু নিউটনকে চিনিয়ে দিন। আলোর প্রতিফলন পড়ানোর সময় পানিতে লাইট ফেলে প্রতিফলন দেখিয়ে দিন! এটাই বাস্তবিক পড়ালেখা। আপনি যাই পড়াবেন তার একটা বাস্তব অস্তিত্ব তার চোখের সামনে ধরার চেষ্টা করুন। এতে শিখবেও সহজে ও বুঝতে পারবেও বেশি। আর বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য হাতের কাছে বিজ্ঞানবাক্স তো আছেই।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,838 total views, 2 views today