সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে বইয়ের মুখস্থ ও গৎবাঁধা সিস্টেম থেকে বের করে নিজের মতো করে ভাবতে শেখানো। এতে শিশুর মাঝে সৃষ্টিশীলতার জন্ম নেয়, জন্ম নেয় একটি উদ্ভাবনী মনের। যে উদ্ভাবনী শক্তি হয়তো সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য নিয়ে আসবে নতুন কোন উদ্ভাবন। কিন্তু এই সৃজনশীল পদ্ধতির জন্য সন্তানকে তৈরি করতে হবে ছোট থেকেই, ছোট থেকেই তাকে নিজের মতো করে চিন্তা করার ব্যপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। সন্তানকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়ালেখার জন্য তৈরি করতে আমরা আগের পোস্টে কিছু খেলার কথা বলেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের পোস্টে থাকছে আরও কিছু মজার খেলা।
ছবি দেখে বর্ণনা লেখা
কিছু একটা মুখস্থ করে লেখা যেতেই পারে। কিন্তু এটা আপনার সন্তানের চিন্তা ভাবনাকে ততটা প্রসারিত করবে না। কোন সংকেত, কোন দৃশ্য কিংবা ফ্যামিলি ফটো এ্যালবাম দেখে সেটাকে বর্ণনায় লিখতে পারলে তা আপনার সন্তানের চিন্তাকে অনেক বেশি প্রসারিত করবে। এই খেলাটার জন্য আপনাদের ফ্যামিলি এ্যালবাম থেকে কোন গ্রুপ ছবি কিংবা বর্ণনা করে লেখা যায় এমন ছবি নিন। এরপর আপনার সন্তানকে বলুন, ছবিটি দেখে ছবিটিকে লেখায় বর্ণনা করতে। এভাবে কোন একটা দৃশ্যকেও বর্ণনায় লিখতে বলতে পারেন। দেখবেন আপনার সন্তান এমন সুন্দর কিছু লিখবে যা আপনাকে অবাক করে দিবে।
ডায়েরী লেখা
ডা্যেরী লেখা শুধু মাত্র বড়দের কাজ না। আপনার সদ্য স্কুলে ভর্তি হওয়া সন্তানও ডায়েরী লিখতে পারে। এতে তার ভাষাগত দক্ষতা বাড়বে ও সুন্দর করে চিন্তা করা শিখবে। সন্তানকে ডায়েরী লেখায় অভ্যস্ত করতে তার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের সুন্দর ডায়েরী কিনুন। সে ডায়েরীতে তাকে লিখতে বলুন। লেখার বিষয় যে কোন কিছু হতে পারে। হতে পারে তার স্কুলের কোন ঘটনা, আজকের দিনটা স্কুলে কেমন গেলো; এমন কোন বর্ণনা। তার প্রিয় ও অপ্রিয় যেকোন কিছু সে লিখতে পারে। এতে একই সাথে তার সৃজনশীল চিন্তা বাড়বে। মজার বিষয় হচ্ছে, একসময় ডায়েরী লেখাটা সে স্বপ্রণোদিত হয়ে করবে।
গল্প সাজানো
ইংরেজি বইয়ের রি-এরেঞ্জতো পড়েছেন? এই খেলাটা অনেকটা তেমন। এর জন্য দরকার পড়বে কিছু ফ্ল্যাশ কার্ড, কিংবা যেকোন কাগজও হতে পারে। কার্ডগুলোতে একটা গল্পকে রি-আরেঞ্জের মতো করে লিখুন। গল্পকে অনেক ভাগ করে অনেকগুলো কার্ডে লিখে কার্ডগুলোকে একসাথে মিশিয়ে ফেলুন। এরপর সন্তানকে একটা একটা করে কার্ড নিয়ে কার্ডে লেখা গল্পের রেনডম অংশগুলো দেখে তা একসাথে সাজিয়ে গল্পটাকে একটা সম্পূর্ণ ও অর্থবহ রূপ দিতে বলুন।
বর্ণনা দেখে ছবি চেনা
এটা ছবি দেখে বর্ণনা লেখার ঠিক উল্টো। এখানে কোন কিছুর বর্ণনা সন্তানকে পড়তে দিন বা তাকে পড়ে শুনান। এরপর বর্ণনার সাথে মিলিয়ে সঠিক বস্তুটি তাকে বের করতে বলুন। সেখানে যেকোন কিছু রাখতে পারেন। কোন ফটো, তার পরিচিত কোন মানুষের বর্ণনা দিয়েও তাকে চেনানোর কথা বলতে পারেন।
এভাবে নিজে নিজে শিশুর খেলা’র বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করে শিশুকে বুদ্ধিমান করে তুলুন ও সমস্যা সমাধানে দক্ষ করে তুলুন। আপনার শিশুর পড়ালেখাকে আরো মজাদার করার সাথে সাথে তাকে সৃজনশীল, বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে তাকে বিজ্ঞানবাক্সও উপহার দিতে পারেন। অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের ছয়টি কিটে রয়েছে ২০০ টিরও অধিক সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট। তাছাড়া কিছুদিনের মধ্যেই অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের আরো অনেকগুলো নতুন কিট আসছে।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,719 total views, 2 views today