অনেকেই শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করতে ভয় পান।নানা বিপদ-আপদের আশঙ্কা কিংবা বাড়তি ঝামেলার কারণে শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করতে চান না।শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ হতে পারে,তাতে শিশুর অনেকটা মানসিক চাপ কমবে এবং সেই সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতাও হতে পারে।
শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করার কিছু টিপস ঃ-
১।প্রয়োজনীয় বিষয়ঃ- শিশু যত বড় হবে ততই তার প্রয়োজনীয় জিনিসের সংখ্যা কমে আসবে।আর এ কারণে আপনার শিশু যদি খুব ছোট হয় তবে প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে হবে,কিছুটা বড় হলে তেমন একটা জিনিসের প্রয়োজন হবে না।আর শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- পোশাক,ঔষধ,বই ও খেলনা নিতে ভুলবেন না।এগুলো আগেই ব্যাগ এ তুলে রাখুন।তবে বাড়তি জিনিস ভ্রমণের সময় ঝামেলা হতে পারে।এ বিষয়টি মাথায় রাখুন।
২।শিশুদেরকে নিয়ে পরিকল্পনা করুনঃ- কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাবেন,কি খাবেন এসব বিষয়ে শিশুদের মতামত জিজ্ঞাসা করুন।এছাড়া যেখানে ভ্রমণে যাবেন সেখানে শিশুর জন্য দর্শনীয় জাদুঘর,পার্ক ইত্যাদি আছে কিনা সেটা ভাল ভাবে জেনে নিন।তারা যেন ভ্রমণ থেকে কিছু শিখতে পারে।
৩।ভ্রমণকে করে তুলুন আনন্দময়ঃ- খেলাধুলা শিশুদের অত্যন্ত প্রিয়।এজন্য প্রয়োজনীয় খেলার সামগ্রী আগে থেকেই নিয়ে নিন।শিশুর জন্য বল,ব্যাট কিংবা অন্যান্য খেলনা নিয়ে নিন।এছাড়া নিজেও শিশুকে গল্প বলুন।মজার গল্প,গান ইত্যাদি শিশুকে দারুন আনন্দ দেবে।
৪।বিভিন্ন মিডিয়ার সমাহারঃ- শিশুরা যেন কোনভাবেই বিরক্তিবোধ না করে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।সে জন্য তাদে প্রিয় বই,সঙ্গিত, টিভি প্রোগ্রাম কিংবা মুভি নিয়ে নিন মোবাইল বা ট্যাবে।সঙ্গে ক্যামেরাও নিতে পারেন,শিশুদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো তোলার জন্য। তাছাড়া শিশুর জন্য খাবার ও পানীয় নিতে ভুলবেন না।
৫।প্রত্যেকের আলাদা চাহিদাঃ- ভ্রমণে প্রত্যেক শিশুর জন্য পৃথক ভাবে নজর রাখা প্রয়োজন।এজন্য তাদের বয়স অনুযায়ী খেলনা রাখা ও অন্যান্য উপকরণ রাখা প্রয়োজন।শুধু ছোটরাই নয়,বড়রাও ভ্রমণ করছে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।এজন্য সঠিক পরিকল্পনায় সবার জন্যই কিছু ব্যবস্থা রাখুন।
৬।তাদেরও সুযোগ দিনঃ- শিশুর বয়স অনুযায়ী ভ্রমণের সময় কিছুটা সুযোগ দিন।যেমন,১২ বছরের শিশু যদি সাঁতার পারে,তাহলে তাকে সাঁতার কাটার সুযোগ দিন।আবার,১৬ বছর বয়সী শিশু নিজেই কিছুদুর ঘুরে ঘুরে দেখতে পারে।
৭।ঝামেলা মোকাবেলা করতে দিনঃ- ভ্রমণে কিছুটা ঝামেলা হবে এটা যেমন সত্য,তেমন এ ঝামেলা গুলো মোকাবেলা করতে গিয়েও অনেক কিছু শেখা যায়,এটাও বাস্তবতা।আর এ বাস্তবতা থেকে শিশুরাও যেন কিছু শিখতে পারে,সে জন্য মনযোগী হোন।বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে চলা,বহু মানুষের সঙ্গে মেশা ইত্যাদি বিষয় শিশুদেরও শেখান।
৮।উৎসাহ দিনঃ- শিশুরা যেন ভ্রমণের মজার বিষয় গুলো গ্রহন করতে পারে সে জন্য উৎসাহ দিন।পারিবারিক ভ্রমণ শিশুর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এ সময়ে শিশু যে বিষয়গুলো শিখবে,তা যেন সারা জীবন কাজে লাগে সে জন্য মনযোগী হোন।ভ্রমণে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি ভাল টিমওয়ার্ক যেন হয় সেজন্য নানা প্রশংসাসূচক বাক্য ব্যবহার করুন।
আরো জানতে পড়ুন- মোসন সিকনেস হলে করণীয়
আপনার সন্তানকে বিজ্ঞানবাক্স উপহার দিন।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,549 total views, 2 views today