পৃথিবীর সব শিশুই নরম মাটির মতো। নরম মাটিকে যেভাবে খুশি আকৃতি দেয়া যায়। ঠিক তেমনি শিশুকেও সেভাবে আকৃতি দিতে পারেন। কথায় আছে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। হয়তোবা আপনার বেলায় এমন হতে পারে আপনার শিশুর ব্যবহারে আপনি সবার সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গেলেন। এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে আপনি আপনার সন্তান কে ব্যবহারের কিছু মৌলিক শিক্ষা দিতে পারেন।
নিচে শিশুর ব্যবহারের কিছু মৌলিক শিক্ষা দেয়া হল-
১। সাক্ষাৎ ও বিদায় সম্বোধন
কারো সাথে সাক্ষাতে প্রথমে হ্যালো কিংবা সালাম দেয়া যেতে পারে। বিদায় বেলায় টাটা কিংবা খোদা হাফেয বলা যেতে পারে। এতে করে শিশু নিজে যেমন নতুন মানুষের সাথে দ্রুত মিশতে পারবে তেমন প্রথম সাক্ষাতে অপরিচিত কেউ তাকে আপন করে নিতে সহজবোধ করবে।
২। চমৎকার শব্দচয়ন
শিশুকে প্লিজ, এক্সকিউজ মি, ধন্যবাদ এই শব্দগুলো সঠিক জায়গায় ব্যাবহার করতে শিখান। আপনার শিশু হয়তো এই বয়সে প্লিজ, এক্সকিউজ মি, ধন্যবাদ এই শব্দগুলোর অর্থ বুঝবে না। কিন্তু তাকে শব্দগুলো ব্যাবহারে অভ্যস্ত করে তুলুন। শব্দগুলো ব্যাবহারে শিশু অন্যের মন সহজে জয় করতে পারবে।
৩। কুশল বিনিময়
কেউ যদি আপনার শিশুর কুশল জিজ্ঞস করে তাকে উত্তর দেয়া এবং পাল্টা তার কুশল জিজ্ঞেস করা শিখাতে পারেন। এতে করে শিশুর যোগাযোগের ক্ষমতা বেড়ে যাবে। পেতে পারে অনেক অনেক আদর।
আরও জানুন- নোবেল পুরষ্কার ২০১৭ এবং কিছু তথ্য (১ম পর্ব)
৪। মধ্যপথে বাঁধা না দেওয়া
শিশুরা না বুঝেই অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলে উঠে বা হতে পারে অন্যের কাজের মধ্যে বাধা দিয়ে থাকে। অন্যের কাজে বাধা দেয়া থেকে তাকে বিরত রাখতে পারেন। শিশু হয়তোবা না বুঝেই এই কাজটা করে থাকে। কিন্তু তাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অন্যথায় সে নিজেকে অবহেলিত ভাবতে পারে। এতে করে শিশু হীনমন্যতায় পরে যায়।
৫। বিকৃত নামে না ডাকা
অন্যের বিকৃত নামে ডাকা খুবই অভদ্রতা। তাই শিশুদের এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে হবে। শিশু হয়তো এই কাজটা করে মঝা পায়। কিন্তু সেটা যে অন্যায় এবং অন্যের মনে আঘাত দেয় সেটা তাকে বুঝাতে হবে।
৬। চোখে চোখ রেখে কথা বলা
শিশু কারো সাথে কথা বলতে গেলে মাথা নিচু করে রাখে। আপনার শিশুকে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অভ্যাস করান। এতে করে শিশু আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শিশুকে বলুন যার সাথে কথা বলছে তার চোখের কালার কি সেটা পরীক্ষা করতে এবং আপনাকে রিপোর্ট করতে। এতে আস্তে আস্তে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
একজন শিশুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার বর্তমানের উপর। তাই শিশুর বর্তমান কে নিখুঁত করতে অভিভাবক কে সতর্ক হতে হবে নিখুঁত ভাবেই।
আরও জানুন- শিশুর ঘুম নিয়ে চিন্তিত? দেখে নিন সমাধান
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,467 total views, 1 views today