জন্মের প্রথম কয়েক মাস শিশু সাধারণত সবচেয়ে বেশি ঘুমায়। সেটা কাঠখড় পুড়িয়ে পৃথিবীতে আসার ক্লান্তিতেই হোক কিংবা প্রশান্তিতেই হোক। এই সময়ে সে প্রায় দিন-রাতের ৭০ ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। ঘন্টার হিসেবে তা প্রায় ১৮-২০ ঘন্টা। এরপর ধীরে ধীরে চারপাশ আবিষ্কার করতে করতে তার ঘুম কিছুটা কমে। ঘুম কমিয়ে ধীরে ধীরে সে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। কিন্তু সবকিছুর নিয়মের মতোই নবজাতকের ঘুমেরও একটা গাইডলাইন আছে। যদিও সব নবজাতকের ঘুমের ধরণ এক রকম হয় না। কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম বাদে প্রায় নবজাতকের ঘুম-এর সময় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের করা গাইডলাইনটাই আমরা দিবো।
কতটুকু ঘুম দরকার
জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহ শিশুর কাছে ঘুমের পরে কেবল ক্ষুধাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে সে খুব অল্প সময়ের জন্য খেতেই ঘুম থেকে জাগবে, খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়বে।
[table id=12 /]
নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের এই ব্লগটা পড়ুন।
ঘুম পাড়ানোর টিপস
যদিও এই সময়টাতে মাসি পিসির গান ছাড়াও শিশু নিজের মতো করে ঘুমায় ও ঘুম থেকে জেগে উঠে। কিন্তু কিছু শিশু থাকে আলাদা। যারা ঘুমের চেয়ে জেগে থাকে বেশি। কিন্তু তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম দরকার। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য খুব যে বেগ পেতে হয় তাও কিন্তু না।
১-৪ মাসের শিশুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য পিঠ চাপড়ে দেয়া, দোলনায় দোলানো কিংবা ক্ষুধায় জেগে উঠলে দুধ খাওয়ালেই সে ঘুমিয়ে যাবে।
৪-৬ মাস বয়সে শিশুরা রাতের বেলায় মূলত বেশি ঘুমায়। দিনে তখন ৩ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট। এই বয়সের শিশুরা সাধারণত রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমায়। যদি জেগে উঠে তাহলে পিঠ চাপড়ে দিলে বা একটু দোলালে ঘুমিয়ে যাবে। ঘুম থেকে উঠে কাঁদলে তাকে দুধ খাওয়ান। সাধারণত ক্ষুধার কারণেই অনেকেই ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
৬-১২ মাসের শিশুদের ঘুম পাড়ানোর জন্য মাসি-পিসির গানের দরকার পড়তে পারে। তখন তারা বাবা-মা ও তার আশেপাশে থাকা মানুষদের চিনতে পারে। ঘুম থেকে জেগে পাশে মা-কে না পেলে বা তার চেনা কাউকে না পেলে কান্নাকাটি করে। কিছু শিশু আছে এরা পাশে বাবা-মা কাউকে পেলে খেলতে পছন্দ করে ও জেগে থাকে। কিন্তু আশেপাশে পরিচিত কাউকে পেলে ও তাকে একটু আদর করে হালকা পিঠ চাপড়ে দিলে বা দোলালে ঘুমিয়ে যায়।
জন্মের প্রথম বছর অন্যান্য সবকিছুর পাশাপাশি নবজাতকের ঘুম’ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এই সময়টাতে তার সঠিক পরিমাণ ঘুমানোর দিকে খেয়াল রাখুন।
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
2,646 total views, 1 views today