Show Categories

গোয়েন্দা ত্বকী ও বিজ্ঞানী তাওসীফের সাক্ষাতকার!

বিজ্ঞানবাক্স ব্যবহারকারী

বাংলাদেশের প্রথম সায়েন্স কিট “অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স”।  সবগুলো বিজ্ঞানবাক্সের সাথে রয়েছে ম্যানুয়াল বই। এছাড়া রয়েছে ভিডিও টিউটোরিয়াল। এসব বিজ্ঞানবাক্স ব্যবহার করছে বাংলাদেশের  অনাচে কানাচের  অসংখ্য বাচ্চারা।  আমরা  তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে তুলে ধরার  চেষ্টা করছি। তেমনই একজন গোয়েন্দা ও বিজ্ঞানীর সাক্ষাতকার  দেওয়া হল-

গোয়েন্দা ত্বকী
গতকাল বিজ্ঞানবাক্সের অফিসে এসে হাজির হয়েছে চৌকস ও বুদ্ধিমান এক গোয়েন্দা। চোখে কালো চশমা, চেহারার মধ্যে অনুসন্ধানী ভাব, হাতে যদিও ওয়াকিটকি ছিলো না কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো মাথাভর্তি গিজগিজ করছে বুদ্ধি। বিজ্ঞানবাক্সের অফিসে ঢুকতেই আমরা জানতে চাইলাম
-আপনি কে স্যার?
-আমি ওয়াসীর। ত্বকী ওয়াসীর। গোয়েন্দা ত্বকী ওয়াসীর।
আমরা সবাইতো ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কাঁপতে কাঁপতে জানতে চাইলাম
-আপনার জন্য আমরা কী করতে পারি স্যার?
উনি চশমাটা খুলতে খুলতে বললেন,
-আপনাদের বিজ্ঞানবাক্স নিয়ে তদন্ত করতে আমাকে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন। আমি একটা একটা করে বিজ্ঞানবাক্স নিয়ে তদন্ত করবো।
আমরা আমাদের সব বিজ্ঞানবাক্স ওনার সামনে এনে রাখলাম। উনি বললেন
-এত বিজ্ঞানবাক্স একসাথে নেয়া যাবে না। আগে “আলোর ঝলক” নিচ্ছি। তদন্ত শেষে খবর পাঠাবো আপনাদের। গিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসবেন। আল ইকরা মডেল একাডেমিতে গিয়ে প্লে-গ্রুপের গোয়েন্দা ত্বকী ওয়াসীরের নাম বললেই আমাকে পেয়ে যাবেন। আজকে যাচ্ছি, আবার দেখা হবে। আমাকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বলেই আবার চশমাটা চোখে লাগিয়ে গোয়েন্দা ত্বকী ওয়াসীর “আলোর ঝলক” বিজ্ঞানবাক্স নিয়ে তার চাচ্চুর সাথে বাসায় চলে যান।
যাওয়ার আগে আমাদেরকে জানান, সে আসলে গোয়েন্দা না। তার নাম ত্বকী ওয়াসীর। আল ইকরা মডেল একাডেমিতে প্লে-গ্রুপে পড়ে। ভালো লাগে দুষ্টামি করতে আর অংক করতে। বড় হয়ে হতে চায়, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের চৌকস গোয়েন্দা। সেজন্যই আমাদের সাথে একটু দুষ্টামি করে গেলো।

আরো জানতে পারো – ওরা বিজ্ঞানবাক্স ব্যবহার করে, তুমি কি বিজ্ঞানবাক্স ব্যবহার কর?
BigganBaksho AD

বিজ্ঞানী তাওসিফ

তাওসিফ ইকবাল গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে মাত্র পিএসসি পরীক্ষা শেষ করে ফলাফলের অপেক্ষায় আছে। এরই মধ্যে সে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের সবগুলোই (৬টি বিজ্ঞানবাক্স) ব্যবহার করেছে। ৪র্থ শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় খালাতো ভাইয়ের কাছে বিজ্ঞানবাক্স দেখে তার ভাল লাগে। সে বাবাকে বলে বিজ্ঞানবাক্সের কথা। বাবা মা তাকে আলোর ঝলক বিজ্ঞানবাক্স কিনে দেয়। সেই থেকে শুরু। বিজ্ঞানবাক্স তার বিজ্ঞানী হওয়ার প্রবণতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বড় হয়ে সে এমন কিছু করতে চায়, যা দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।
অনেক দিন থেকেই বিজ্ঞানী তাওসিফের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি আমরা। কিন্তু কোনভাবেই ব্যাটে-বলে মিলছিল না। আজ আমরা বিজ্ঞানী তাওসিফের ইন্টারভিউ নিয়েছি। নিচে তার ইন্টারভিউয়ের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল।

আপনি বিজ্ঞানী হতে চাইলেন কেন?
উঃ আইনস্টাইন, জগদীশ চন্দ্র প্রভৃতি বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কল্যাণে নতুন নতুন আবিষ্কার করেছেন। আমিও মানুষের কল্যাণে নতুন কিছু করতে চাই।
অবসর সময়ে আপনি কি করেন?
উঃ এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে গবেষণা করি।
আপনি কি কি এক্সপেরিমেন্ট করেছেন?
উঃ অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্সের ৬টি বিজ্ঞানবাক্স দিয়ে প্রায় ২০০+ এক্সপেরিমেন্ট ও এক্টিভিটি করেছি।
কোন কোন এক্সপেরিমেন্ট আপনার ভাল লেগেছে?
উঃ শব্দকল্প বিজ্ঞানবাক্সের লেজারের আলো দিয়ে দূরে শব্দ প্রেরণ সব থেকে বেশি ভাল লেগেছে। আরও ভাল লেগেছে আলোর ঝলকের পিনহোল ক্যামেরা, অদ্ভুত মাপজোখ বিজ্ঞানবাক্সের সাউন্ড সেন্সর।
আপনি এখন কি নিয়ে গবেষণা করছেন?
উঃ গবেষণার জন্য নতুন বিজ্ঞানবাক্সের অপেক্ষা করছি।
ইন্টারভিউ দিতে আপনার কেমন লাগে?
উঃ হ্যাঁ ভালই লাগে।
আপনার সম্পর্কে আমরা বিজ্ঞানবাক্স ফেসবুক পেজে লেখা দিতে পারি?
উঃ হ্যাঁ দিতে পারেন, তবে খুব বেশি না। মানুষ বেশি লেখা পড়তে চায় না। চললাম, আজ আর না অন্য দিন কথা হবে।
যাওয়ার সময় জানতে ভোলেননি বিজ্ঞানবাক্সের স্টিকার ও ব্যাজ তার খুব ভাল লেগেছে।
বিজ্ঞানবাক্সের পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল ভবিষ্যত বিজ্ঞানী তাওসিফের জন্য।

 1,416 total views,  3 views today

What People Are Saying

Facebook Comment