Show Categories

গরমে শিশুর যত্ন; শিশুকে সুরক্ষিত রাখার ৬ টি কার্যকরী টিপস

গরমে শিশুর যত্ন

মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের নিজেদের শারীরিক অবস্থারও কিছুটা পরিবর্তন আসে। হুট করে জ্বর, সর্দি থেকে বড় কোন সমস্যাও হতে পারে। আর শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হওয়ার কারণে এই সময়ে তাদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আমাদের চেয়ে বেশি থাকে। গরমে শিশুর যত্ন নিয়ে সহজেই গরমের সমস্যাগুলোর প্রতিরোধ করা সম্ভব। সাধারণত শিশুর খাবার ও তার পরিবেশের দিকে একটু নজর দিলে সহজেই শিশুকে গ্রীষ্মকালীন অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়া যায়। সাধারণত শিশুর খাবার, পানি, কাপড় চোপড়, শিশুর রুমের তাপমাত্রা ও মশা থেকে শিশুকে রক্ষার বিষয়ে একটু সচেতন হলেই গরমে শিশুর যত্ন নেয়া সহজ হয়ে যায় অনেকটা। বুঝতেই পারছেন আজকের ব্লগটা গরমে শিশুর যত্ন নিয়ে।

স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধ খাবার

শিশুর সঠিক খাদ্যাভাসই গরমের সমস্যা থেকে শিশুকে অর্ধেক সুরক্ষা দিতে পারে।
• আপনার সন্তান যদি শুধু বুকের দুধের উপর নির্ভরশীল থাকে তাহলে তাকে অল্প অল্প করে কিন্তু ঘনঘন বুকের দুধ খাওয়ান। কারণ গরমে ঘামানোর কারণে শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ঘনঘন বুকের দুধ খাওয়ালে এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
• আপনার সন্তান যদি বাড়তি খাবার খাওয়া শুরু করে তাহলে তাকে বাড়তি খাবারের পাশাপাশি হালকা বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। অথবা বুকের দুধ না খাওয়ালে খাবারের পাশাপাশি হালকা কুসুম গরম দুধ অথবা ফর্মুলা খাওয়াতে পারেন।
• গরমে গরুর দুধ ও তরল দুধ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় সেজন্য পাউডার দুধ রাখতে পারেন। তবে পাউডার দুধ ও ফরমুলা মিল্ক অবশ্যই সুরক্ষিত থাকে এমন কোন জার অথবা জায়গার রাখুন।
• কোন কারণে বাসার বাইরে গেলে ফলমূল ও শুকনো খাবার সাথে রাখুন। রান্না করা খাবার বা তরল খাবার গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নিরাপদ ও পর্যাপ্ত পানি

গরমে সুস্থ থাকার জন্য বিশুদ্ধ পানি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
• শিশুর জন্য অবশ্যই ফুটানো অথবা ফিল্টারিং করা পানি ব্যবহার করবেন।
• মিনারেল ওয়াটার খাওয়ানোর সময় বোতলের গায়ের মেয়াদ ও বোতলের মুখ অব্যবহৃত কিনা তা দেখে নিতে হবে।
• ডিহাইড্রেশন থেকে সুরক্ষার জন্য ১ বছরের কম বয়সি শিশুর ৮-১২ আউন্স (২২৬ গ্রাম থেকে ৩৪০ গ্রাম) পানি পান করা উচিত। ১ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য অন্তত ৩০ আউন্স (৮৫০ গ্রাম) পানি পান করা উচিত।
• অতিরিক্ত গরমে শিশুর ডিহাইড্রেশনের দিকে নজর রাখুন। ডিহাইড্রেশনের লক্ষন দেখলে পানির পরিমাণ বাড়ান অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। (ডিহাইড্রেশনে লক্ষন-৬ ঘন্টার বেশি প্রস্রাব, পায়খানা না করা; কাঁদলে চোখ দিয়ে পানি বের না হওয়া, অতিরিক্ত ঘুম ও নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, ঠোট শুকিয়ে যাওয়া ও ফ্যাকাশে দেখানো)

হিট র‍্যাশ থেকে মুক্ত রাখুন

গরমের সময় শিশুর গলায়, ঘাড়ে, বাহুতে ও অন্যান্য জায়গায় ছোট ছোট ঘামাচির মতো একধরণের বস্তু দেখা যায়। সেগুলোই হিট র‍্যাশ। গরমের সময় হিট র‍্যাশ থেকে মুক্ত থাকাও জরুরী
• শিশুকে অবশ্যই কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন।
• পানির সাথে এন্টিসেপটিক কিছু ব্যবহার করতে পারেন অথবা হালকা মিল্ড সোপ (বাজারে পাওয়া যায়) ব্যবহার করতে পারেন।
• শিশুকে ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরিধান করান। অতিরিক্ত আঁটসাঁট জামা পরিহার করুন।
• গরমে শিশুদের মাঝে ডায়াপার র‍্যাশও হতে দেখা যায়। সাধারণত প্রয়োজন ছাড়া ডায়াপার ব্যবহার না করাই উত্তম।

মশার কামড় থেকে নিরাপদ রাখুন

গরমে মশার কামড় থেকেও শিশুরা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
• বাসায় মশার স্প্রে ব্যবহার করলেও সেটা শিশুর জন্য নিরাপদ কি না জেনে নিন। অথবা শিশুর রুমে আগে স্প্রে করে কিছুক্ষণ পর শিশুকে রুমে আনুন।
• রাতে মশারী ব্যবহার নিশ্চিত করুন। মশার উপদ্রব বেশি হলে দিনেও মশারি ব্যবহার করুন।
• বাসায় এয়ারকুলার অথবা এসি থাকলে তার পানি নিয়মিত পরিবর্তন করুন ও পরিষ্কার করুন। বাড়ির আশপাশ ও শিশুর রুম পরিষ্কার ও খোলামেলা রাখুন। পরিষ্কার ও খোলামেলা জায়গায় মশা কম থাকে।

সঠিক পোশাক পরিধান

গরমে শিশুকে সঠিক পোশাক পরিধান করানোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এতে অনেকাংশেই গরম থেকে বাঁচা যায়।
• শিশুকে অতিরিক্ত জামা কাপড় পরাবেন না।
• সুতি, পাতলা ও ঢিলেঢালা জামা পছন্দ করুন। বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে জামার রঙয়ের দিকে খেয়াল রাখুন। যে সব রঙয়ের তাপ শোষন ক্ষমতা বেশি সেসব রঙয়ের জামা পরিহার করুন। সাধারণত বাইরে গেলে কালো রঙয়ের জামা পরাবেন না।
• চাইলে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ৬ মাস বয়সী বাচ্চাদের জন্য সানস্ক্রিন রক্ষাকবজের মতো কাজ করে। তবে অবশ্যই শিশুর উপযোগী সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।

রুমের তাপমাত্রা

গরম কালে আরামদায়ক থাকার জন্য শিশুর রুমের তাপমাত্রাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ
• বাসায় এসি ও এয়ারকুলার ব্যবহার করলে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন। শিশুর জন্য এই তাপমাত্রাই আদর্শ। এসি ও এয়ারকুলার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের এই ব্লগটি দেখুন
• শিশুর রুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখুন।
• এসি ও এয়ারকুলার ব্যবহার করলে শিশুকে খালি গায়ে রাখবেন না। শিশুর শরীরে আর্দ্রতাও বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

গরমে শিশুর যত্ন নিন সঠিকভাবে। আপনার সন্তান থাকুক নিরাপদ ও আদরে। আরো জানতে থাকুন বিজ্ঞানবাক্সের সঙ্গে।

বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

#mc_embed_signup{background:#fff; clear:left; font:14px Helvetica,Arial,sans-serif; }
/* Add your own Mailchimp form style overrides in your site stylesheet or in this style block.
We recommend moving this block and the preceding CSS link to the HEAD of your HTML file. */

নিয়মিত এমন কন্টেন্ট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

* indicates required
0-3
4-7
8-10
11-12
13-15
15+

(function($) {window.fnames = new Array(); window.ftypes = new Array();fnames[2]=’MMERGE2′;ftypes[2]=’dropdown’;fnames[1]=’FNAME’;ftypes[1]=’text’;fnames[0]=’EMAIL’;ftypes[0]=’email’;fnames[4]=’PHONE’;ftypes[4]=’phone’;fnames[5]=’MMERGE5′;ftypes[5]=’text’;}(jQuery));var $mcj = jQuery.noConflict(true);

 2,479 total views,  1 views today

What People Are Saying

Facebook Comment