বর্তমান যুগে চাইলেও টেকনোলজি থেকে আপনি ও আপনার শিশুকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন না। তাই অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শিশুকে টেকনোলজির ব্যবহার করাবেন। নিম্নে টেকনোলজির সৎ ব্যবহারের কিছু উপায় দেয়া হলো
১। নিজস্ব পারিবারিক মিডিয়া প্ল্যান করুন
টেকনোলজি আপনার ও আপনার শিশুর খুবই কাজে লাগে। যখন আপনি চিন্তাভাবনা করে ও যুক্তিসঙ্গত উপায়ে ব্যবহার করেন তখন টেকনোলজি আপনার ও আপনার শিশুর জীবন পদ্ধতি অনেক এগিয়ে নেবে। কিন্তু আপনি যদি টেকনোলজির অপব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে এটি আপনার ও শিশুর জন্য অভিশাপ স্বরূপ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি হারাবেন মুখোমুখি মিথস্ক্রিয়া, পারিবারিক সময়, আউটডোর কার্যক্রম এবং ঘুমের ক্ষেত্রেও আপনাকে ব্যাঘাত ঘটাবে টেকনোলজি। তাই নিজস্ব কিছু পারিবারিক নিয়ম ও পরিকল্পনা তৈরি করুন।
আরও দেখুন- হ্যালো থেকে টাটাঃ দেখুন শিশুর ব্যবহার ও ভদ্রতার ৬ টি মৌলিক শিক্ষা
২। টেকনোলজি ব্যবহারে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন
অন্যান্য কাজের মতো টেকনোলজি ব্যবহারেও যৌক্তিক সময় নির্দিষ্ট করে দিন। এতে করে শিশুর অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটবেনা এবং শিশুর বহুমুখী কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে।
৩। আপনার শিশুর বন্ধুদের সম্পর্কে ধারনা রাখুন
আপনার শিশুর অনলাইন ও অফলাইন বন্ধুদের সম্পর্কে জানুন। তারা কি ধরনের সফটওয়্যার বা অ্যাপস ব্যবহার করছে সে ব্যাপারে ধারনা রাখুন। তারা অনলাইনে কি ধরনের কাজ করছে এবং ইন্টারনেটে কোন ধরনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করছে সে দিকে খেয়াল রাখুন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে খুবই সাবধানী হতে হবে নয়তোবা আপনার শিশু ভাববে আপনি তার উপর নজরদারি করছেন। সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা আপনার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪। একসাথে খেলুন, একসাথে শিখুন
টেকনোলজি ব্যবহারে শিশুর সাথে আপনিও গঠনমূলক অংশগ্রহণ করুন। এতে করে পারস্পরিক যোগাযোগ, বন্ধন ও সাথে যোগ হবে নতুন কিছু শেখা। আপনার শিশুর সাথে কোন শিক্ষা ভিডিও গেমস খেলুন। তখন আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিকোণ তার সাথে শেয়ার করুন।
আরও দেখুন- ঢাকার জাদুঘর: সন্তানকে নিয়ে হারিয়ে যান আরেক জ্ঞানের জগতে (১ম পর্ব)
৫। ফেস টু ফেস যোগাযোগ করুন
শিশুরা দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ থেকে দারুন কিছু শিখতে পারে। দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগে শিশুর ভাষা উন্নয়নে খুবই সহায়তা করে ও শিশু আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। তাই যখনই পারেন শিশুর সাথে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ করুন। অনলাইনে কথা বলা জরুরী হলে ভিডিও কলে কথা বলুন।
৬। টেক-ফ্রি জোন তৈরি করুন
খাবার ঘর, শোবার ঘর কিংবা খেলার ঘর টেকনোলজির আওতামুক্ত রাখুন। কড়াকড়ি নিয়ম করুন যেন এসব জায়গায় কেউ টেকনোলজি ব্যবহার না করে। এতে করে অনেক বেশী ফ্যামিলি টাইম পাওয়া যাবে। ঠিক মতো খেতে ও ঘুমাতে সাহায্য করবে। এতে করে শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠবে।
৭। শিশুদের অ্যাপ ব্যবহার করুন
শিশুদের জন্য ৮০০০০ এর উপর শিক্ষামূলক অ্যাপ রয়েছে যা শিশুর টেকনোলজি ব্যবহারে দারুন উপকার হতে পারে। আপনি আপনার শিশুর জন্য উপযুক্ত অ্যাপটি বেছে নিন। এতে শিশু আনন্দের সাথে নতুন কিছু করতে ও শিখতে পারবে।
৮। পিতা মাতাই আদর্শ রোল মডেল
শিশুরা খুবই ভালো অনুকরন করতে পারে। তাই আপনি নিজেই শিশুর জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠুন। নিজে টেকনোলজি ব্যবহারে সতর্ক হোন। টেকনোলজি ব্যবহারের নৈতিকতা মেনে চলুন। আপনার শিশুর সাথে অনলাইনে কানেক্ট থাকুন। তখন আপনার শিশুই অজান্তে আপনাকে অনুসরণ করতে থাকবে।
আরও দেখুন- শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় ৫টি মজার টিভি সিরিজ
বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সায়েন্স কিট অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স আপনার সন্তানের অবসর সময় সুন্দর করবে, এবং তার মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
1,540 total views, 3 views today